ধূসরিত: স্টল উচ্ছেদের জেরে ধুলোয় ঢেকেছে হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
এ বার কোনও নোটিস ছাড়াই ভেঙে দেওয়া হল হাওড়া স্টেশনে কমিশন ভেন্ডরদের অধিকাংশ স্টল। শনিবার দুপুরে যাত্রীদের সামনেই ভাঙচুর শুরু হওয়ায় ধুলোয় ঢেকে যায় গোটা স্টেশন চত্বর। যাত্রীদের অভিযোগ, এ সবের পরোয়া না করেই বিশাল আরপিএফ বাহিনীকে সামনে রেখে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চলে। রেলের দাবি, ওই সব ভেন্ডরদের লাইসেন্স দীর্ঘ দিন আগে বাতিল হয়ে গিয়েছে। স্টলগুলি বেআইনি ভাবে ছিল। তাই এই সব ভেন্ডারদের সরিয়ে নতুন লোকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
হাও়়ড়া স্টেশনে কমিশন ভেন্ডরদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ওই দিন মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে নতুন ও পুরনো কমপ্লেক্স মিলিয়ে ১৯টি স্টল ভেঙে দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার একই ভাবে ভেঙে দেওয়া হয় আর ৩০টি স্টল। এ দিন ভাঙা হয় ৫৮টি স্টল। ভেন্ডরদের বক্তব্য, স্টেশনের ভিতরে আর কোনও স্টল থাকলো না। ফলে জল কিনে খেতে গেলেও প্ল্যাটফর্মের বাইরে এসে কিনতে হবে। এতে যাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন। তাঁদের অভিযোগ, রেল আয় বাড়াতে এই কাজ করছে। তাঁদের দাবি, বহুজাতিক কোনও সংস্থার হাতে স্টল তৈরির দায়িত্ব তুলে দিতেই রেল তাঁদের উচ্ছেদ করছে।
মুকেশ শর্মা নামে এক কমিশন ভেন্ডর বলেন, ‘‘রেলের অনুমতি নিয়েই স্টল চলছিল। এ দিন কোনও নোটিস না দিয়েই সব ভেঙে দেওয়া হল। আসলে রেল আয় বাড়াতে আমাদের তুলে দিয়ে নতুন কোনও বেসরকারি বড় কোম্পানিকে সব স্টলের দায়িত্ব দিতে চাইছে।’’
এ দিন ভেন্ডরদের পক্ষ থেকে কোনও বিক্ষোভ দেখানো না হলেও স্টেশন চত্বরে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। রেলের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত রেলরক্ষী বাহিনী মজুত রাখা ছিল। তবে দুপুরে ভাঙচুর শুরু হওয়ার পরেই স্টেশন চত্বর ধুলোয় ঢেকে যায়। যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। অনেকে রেল কর্মীদের কাছে প্রতিবাদও করেন।
পূর্ব রেলের এক পদস্থ অফিসার বলেন, ‘‘ভাঙচুরের জন্য কোনও যাত্রীর অসুবিধা হয়েছে বলে জানি না। তবে রেল যা করছে যাত্রীদের সুবিধার জন্য করছে। এতে স্টেশন অনেকটা দখলমুক্ত হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy