প্রতীক্ষা: মহাজাতি সদনের নতুন যাত্রী-ছাউনি। নিজস্ব চিত্র
শহরের সৌন্দর্যায়ন করতে ১৮৫টি যাত্রী-ছাউনি তৈরির কাজ শেষ করল কলকাতা পুরসভা। উত্তর থেকে দক্ষিণ জুড়ে রয়েছে ছাউনিগুলি। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, বাইপাসেও তৈরি হয়েছে ৩০টিরও বেশি ছাউনি। নতুন ই-টেন্ডার ডেকে আরও যাত্রী-ছাউনি তৈরির পরিকল্পনাও চলছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, এর জন্যে একটি টাকাও খরচ করতে হয়নি কর্তৃপক্ষকে। ই-টেন্ডারের মাধ্যমে দু’টি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই দুই সংস্থাই উত্তরের লাল মন্দির, মহাজাতি সদন, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ বিডন স্ট্রিট, বিবেকানন্দ রোড বাটা, উল্টোডাঙা, শিয়ালদহ বিআর সিং হাসপাতালের সামনে, মৌলালি, দক্ষিণে পিজি, দেশপ্রিয় পার্ক, ক্যামাক স্ট্রিট-সহ ১৮৫টি ছাউনি তৈরি করেছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘যাত্রী-ছাউনিগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নির্মাণকারী সংস্থার। পুরসভাকে একটি টাকাও খরচ করতে হয়নি। বিজ্ঞাপনের জন্যে যাত্রী-ছাউনিগুলি ব্যবহার করে তার থেকে আয় করবে ওই দুই সংস্থা। দশ বছরের জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে সংস্থা দু’টিকে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, এর আগে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পুরনো ছাউনির নির্মাতা-সংস্থাকে। ওটা পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ ছিল বলে জানাচ্ছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরনো ছাউনি সরিয়ে সেই জায়গায় নতুন ছাউনি করা হয়েছে।
অভিযোগ, ইতিমধ্যেই নতুন তৈরি কয়েকটি যাত্রী-ছাউনি জবরদখলকারীর দখলে চলে গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষেত্রে নতুন তৈরি যাত্রী-ছাউনির বাইরে দাঁড়িয়েই প্রতীক্ষা করছেন যাত্রীরা। এই সমস্যার সমাধান কী? দেবাশিসবাবু জানান, ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাসস্ট্যান্ডগুলি নির্দিষ্ট করে তবেই ছাউনিগুলি তৈরি হয়েছে। সেগুলি যথাযথ ব্যবহারের দায়িত্বও যাত্রীদের। যদি কোনও যাত্রী-ছাউনি জবরদখল হয়ে থাকে তবে তার ছবি তুলে যাত্রীরা পুরসভায় বা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে সরাসরি অভিযোগ জানান। পুরসভার তরফ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy