প্রচুর আসন খালি পড়ে থাকলেও মান অটুট রেখে এ বার সেগুলো পূরণ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
একই ভাবে চলতি শিক্ষাবর্ষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফাঁকা আসন ভরানো নিয়মবিরুদ্ধ বলে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই-র অভিমত। এতটা সময় চলে গিয়েছে যে, এ বার আসন পূরণে নিয়মই বাধা বলে ওই সংস্থার চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুদ্ধে যাদবপুরকে জানিয়েছেন। এই বিষয়ে আজ, মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাদবপুর-কর্তৃপক্ষের দেখা করার কথা।
যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রায় ৭০টি আসন ফাঁকা আছে। কিছু দিন আগে ওই সব আসন পূরণের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। দেশের প্রযুক্তি বিষয়ক পাঠ্যক্রমে ভর্তি হলে পড়ুয়ার নাম এআইসিটিই-র কাছে নথিভুক্ত করতে হয়। তাই শূন্য
আসন ভরানোর বিষয়ে এআইসিটিই-র অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। কিন্তু এই মরসুমে নতুন করে ছাত্র ভর্তি নেওয়া নিয়মবিরুদ্ধ বলেই জানিয়েছেন এআইসিটিই-প্রধান।
যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সোমবার জানান, এআইসিটিই-র কাছে নামে নথিভুক্তির শেষ তারিখ ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। এ ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিটেক-এ ভর্তির প্রক্রিয়া ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা। এআইসিটিই-প্রধান তাঁর চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশেরও উল্লেখ করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্সি হোক বা যাদবপুর, কোথাও কোনও মতেই আসন ফাঁকা রাখা যাবে না। আসন ভর্তির পক্ষে গত সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে সরব হন কর্মসমিতির সদস্য এবং অন্যতম শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র নেতা মনোজিৎ মণ্ডল।
এ বছর বিটেক-এ ভর্তি ঠিক সময়ে হলেও এমটেক-এ ভর্তিতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। ডিন জানান, তাঁরা বিভিন্ন আইআইটি-র ভর্তি পর্ব সাঙ্গ হওয়ার পরে যাদবপুরে এমটেক-এ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে চেয়েছিলেন। তা ছাড়া সফটঅয়্যারের বিভ্রাটে মেধা-তালিকা প্রকাশে প্রায় এক মাস দেরি হয়ে গিয়েছিল। আপাতত, এমটেক-এ প্রায় ৬৭টি আসন খালি। কিছু আসন ফাঁকা বিটেক-এও। কিন্তু প্রথম সেমেস্টারের প্রায় শেষে এসে সেই আসন পূরণ সম্ভব নয় জানাচ্ছে এআইসিটিই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy