— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ছয় তরুণীকে শারীরিক ভাবে হেনস্থার অভিযোগ উঠল শহরে। পাশাপাশি, তাঁদের র়ড দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগে ওই ছয় তরুণীর এক জন জানিয়েছেন, ইমএম বাইপাসে একটি ধাবার কাছে শৌচালয়ের খোঁজে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় স্থানীয়েরা বেরিয়ে এসে গালিগালাজ শুরু করেন। মত্ত অবস্থায় কয়েক জন পুরুষ ওই তরুণীদের ঘুষি মারেন। এমনকি, রড দিয়ে আঘাত করেন বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে উত্তর বিধাননগর থানার আওতাধীন ওই ধাবার পিছনের বস্তির অন্তত ২০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক তরুণী এবং তাঁর পরিবার।
অভিযোগকারী তরুণীর মা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ইএম বাইপাসের ধারে পাঁচ বান্ধবীর সঙ্গে একটি ধাবায় গিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। তাঁদের বয়স ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। মেয়ে ও তাঁর বান্ধবীদের ওই ধাবায় ছেড়ে দিয়ে মহিলা তাঁর স্বামীকে গিয়েছিলেন গাড়িতে তেল ভরতে। ধাবাটি সেই সময় বন্ধ ছিল। শুধু তাই নয়, ধাবা সংলগ্ন শৌচালয়টিও বন্ধ ছিল বলে মহিলার দাবি। ছয় তরুণীর মধ্যে এক জনের শৌচকর্মের প্রয়োজন পড়ে। সেই সময় আশপাশে শৌচালয় রয়েছে কি না, খোঁজ করছিলেন ওই তরুণীরা। বান্ধবীদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, অন্ধকার কোনও জায়গায় শৌচকর্ম করা যায় কি না।
ওই মহিলার অভিযোগ, ধাবার পিছনে শৌচালয়ের কাছেই অভিযুক্তদের বাড়ি। তরুণীদের কথোপকথন শুনে এক মহিলা ঘরের জানলা খুলে গালিগালাজ শুরু করেন। এক তরুণী প্রতিবাদ করলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ওই মহিলা। এর পর মহিলার ডাকে তাঁর স্বামী এবং ছেলেও বেরিয়ে আসেন। অভিযোগ, তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার মত্ত স্বামী এক তরুণীকে ঘুষি মারেন। এর পর তিনি অন্তত ১০ জনকে ডেকে আনেন। অভিযোগ, সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তাঁরা রড দিয়ে মারতে উদ্যত হন এই তরুণীদের। ভয় পেয়ে বাবাকে ফোন করেন অভিযোগকারী তরুণী। তাঁর বাবা খবর পেয়ে আসেন। অভিযোগ, তাঁকেও মারধর করা হয়। মেরে তাঁর মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী তরুণীর মায়ের অভিযোগ, মেয়েদের সকলকেই রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে। আহতদের সরকারি এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দুই তরুণীর সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। আরও দু’জন তরুণীকে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও তাঁরা শেষ পর্যন্ত ভর্তি হননি। এর পরেই থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন এক তরুণী।
এ বিষয়ে পুলিশের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy