এই স্পা-তেই হানা দেয় পুলিশ। ছবি সংগৃহীত।
থানার নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। ঝকঝকে স্পা-এর সাইন বোর্ডের আড়ালে যে দেহ ব্যবসা চলছে তা অনেক দিনই বুঝেছিলেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েক বার থানার আধিকারিকদের জানানোও হয়েছিল মৌখিক ভাবে। কিন্তু তাতে আদৌ কোনও কাজ হয়নি।
শেষ পর্যন্ত লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের আচমকা হানায় ফাঁস গেল চক্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই পি ৬১ সিআইটি রোডে, ভিআইপি মার্কেটের গায়েই বহুতলের এক তলায় ‘মাইন্ড টাচ তাই স্পা’তে হানা দেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস ধরেই তাঁরা খবর পাচ্ছিলেন যে ওই স্পা-এর আড়ালে চলছে দেহ ব্যবসা।
গোয়েন্দাদের দাবি, সেখানে হানা দিয়ে দু’জন গ্রাহক সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওই স্পা-এর ম্যানেজার রিঙ্কু দাস। গোয়েন্দাদের দাবি, রিঙ্কুই গোটা চক্রটি চালাত। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই।
আরও পড়ুন: হামলার জের, এক্স ক্যাটেগরি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বিজেপির জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে
ধৃত গ্রাহকরা বাঙুর অ্যাভিনিউ এবং নারকেলডাঙা এলাকার বাসিন্দা। চার জন তরুণীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে। তাঁরা কসবা এবং মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা।
তদন্তকারীদের দাবি, প্রায় এক বছর ধরে এই মধুচক্র চলছিল। সেখান থেকে থানার দূরত্ব হাঁটা পথে দু’মিনিটও নয়। তার পরও থানার নজর কী ভাবে এড়িয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন খোদ লালবাজারের গোয়েন্দাদেরও। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন বিভিন্ন সাইটে রীতি মতো বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছিল এরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রিঙ্কু ম্যানেজারের কাজ করলেও পেছনে আছে অন্য মাথা। তাকে পাকড়াও করার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে ফের হবে মহাপ্লাবন! হুঁশিয়ারি বিজ্ঞানীদের
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রায় ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে প্রথমে নিয়ে আসা হয় ফুলবাগান থানায়। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে পেশ করা হবে।
কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy