বড় মাপের শিবির না হলেও চলবে। প্রয়োজনে ছোট শিবিরের আয়োজন করে রক্তের ঘাটতি মেটাতে হবে। সঙ্কট কাটাতে বুধবার ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষগুলিকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর।
প্রতি বছরই গ্রীষ্মে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের আকাল দেখা দেয়। এ বছর ভোটের জন্য সেই সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে। যাঁরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন, তাঁরা প্রচারে ব্যস্ত হওয়ায় রক্তের জোগানে ভাটা পড়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় এ দিন রাজ্যের একাধিক ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষ কর্তারা।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, জেলা ও শহরের যে সব ব্লাড ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত রক্ত মজুত নেই, তাদের ঘাটতি মেটাতে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকে উদ্যোগী হয়ে স্কুল, কলেজ, অফিস-সহ নানা প্রতিষ্ঠানে শিবির আয়োজন করার আর্জি জানাতে বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা আছেন। পড়ুয়ারা অনুরোধ করলে অভিভাবকেরা রক্তদানে এগিয়ে আসতে পারেন। জেলার একটি ব্লাড ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের অভিভাবকদের রক্তদানের অনুরোধ জানানো যেতে পারে। ছোট ছোট শিবির করে চাহিদা মেটানোর কথা বলা হয়েছে।’’
এই সূত্রেই যে সব ব্লাড ব্যাঙ্কে যন্ত্রপাতি খারাপ থাকায় রক্ত সংগ্রহ ব্যাহত হচ্ছে, সেখানে যন্ত্রপাতি সারিয়ে দেওয়ার আশ্বাস মিলেছে। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি-সহ বেশ কিছু জেলায় ভোট মিটে গিয়েছে। সেই সব জেলায় শিবিরের সংখ্যা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষগুলিকে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিকের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy