হাওড়ায় একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে খুনের জন্য ৬ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল ইন্দো-টিবেটান সীমান্ত বাহিনীর জওয়ান সঞ্জয় যাদবকে। আর তা দিয়েছিল ওই খুনের ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে পুলিশের জালে ধরা পড়া প্রহ্লাদ সিংহ। ঘটনার প্রায় এক মাস পরে মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে ধৃত ওই সুপারি কিলার সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের পরে এই তথ্য জানা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কিন্তু প্রহ্লাদের মত ছোটখাটো এক দুষ্কৃতী হঠাৎ আবাসনরক্ষী বিজয় মল্লিককে খুন করতে এত টাকা কেন খরচ করল, তা নিয়ে ধন্দে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। তাঁদের ধারণা, এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও বড় মাথা।
১৭ জুন রাত ৮টা নাগাদ মধ্য হাওড়ার রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেনের এক বহুতল আবাসনের গেটের সামনে সেখানকার রক্ষী বিজয়কে পিছন থেকে গুলি করে খুন করা হয়। তার ছবি ধরা পড়ে আবাসনের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায়। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই প্রহ্লাদ সিংহ, দিলীপ শাহ, সোমনাথ দাস ও বিক্রম মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ধৃতেরা। তাদের জেরা করে পুলিশ জানিয়েছিল, ওই রক্ষীকে খুন করা হয়েছে তার জমিতে প্রোমোটারি করতে না দেওয়ার বদলা হিসেবে।
হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, আগেই জানা গিয়েছিল ওই রক্ষীকে খুনের জন্য উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা প্রহ্লাদ তার গ্রামের যুবক সঞ্জয়কে ৬ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিল। গোয়েন্দা প্রধান সুমিত কুমার বলেন, ‘‘সরকারি চাকুরে হওয়ায় সঞ্জয়কে ধরতে নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তাই দেরি। হাওড়া সিটি পুলিশের একটি দল মঙ্গলবারই তাকে গ্রেফতার করে হাওড়ায় নিয়ে আসে।’’
গোয়েন্দা প্রধান জানান, মনে হয়েছিল প্রোমোটারি সংক্রান্ত রেষারেষির জেরে এই খুন এবং প্রহ্লাদই মূল মাথা। কিন্তু খুনের উদ্দেশ্য পরিষ্কার না হওয়ায় এর পিছনে অন্য কারণ বা কোনও বড় মাথা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy