স্বাস্থ্য ভবন। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের স্থায়ী স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা পদে কে বসবেন, তা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ওই পদের জন্য আবার ইন্টারভিউ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অভিযোগ, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা পদে নিয়োগে চরম স্বজনপোষণ হচ্ছে বলে দাবি করে স্বাস্থ্য ভবনের বাইরের দেওয়ালে ওই রাতে পোস্টারও সাঁটা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক চিকিৎসক মঞ্চের নামে দেওয়া ওই পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, ‘উত্তুরে হাওয়া’র দাপটে স্বাস্থ্য দফতরও আগামী দিনের সন্দেশখালি হয়ে যাবে।
এর আগেও এই মঞ্চের নাম করে একই বিষয়ে পোস্টার সাঁটা হয়েছিল। কিন্তু এই সংগঠন কাদের, সে বিষয়টি বুধবারও স্পষ্ট হয়নি। তবে, এ দিন সকালে স্বাস্থ্য ভবনের প্রবেশদ্বারে এমন পোস্টার সাঁটা দেখে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এর পরে স্বাস্থ্যসচিব দফতরে ঢোকার পরেই, কর্মীরা ওই পোস্টার ছিঁড়ে দেন। সূত্রের খবর, ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা পদে স্থায়ী কেউ নেই। কার্যনির্বাহী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত এক শীর্ষকর্তা দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। মাস কয়েক আগে ওই পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ হয়। কিন্তু চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়নি। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য শিবিরে ক্ষমতাবান হিসেবে পরিচিত ‘উত্তরবঙ্গ গোষ্ঠী’র ঘনিষ্ঠ এক অধ্যক্ষকে ওই পদে বসানোর চেষ্টা চলেছিল। তা নিয়ে পরোক্ষে আপত্তি তুলেছিলেন সরকারি চিকিৎসকদের বড় অংশ। সেই ইন্টারভিউ বাতিল করে স্বাস্থ্য-শিক্ষা পদে নিয়োগের বিষয়ে নতুন নিয়ম জারি হয়।
মঙ্গলবার সেই মতো ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ইন্টারভিউ দেন। সেই তালিকায় রয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ইন্দ্রজিৎ সাহা, কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যালের পার্থপ্রতিম প্রধান, কলকাতা মেডিক্যালের ইন্দ্রনীল বিশ্বাস, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অমিতকুমার দাঁ, ঝাড়গ্রামের সুস্মিতা ভট্টাচার্য, বর্ধমান মেডিক্যালের কৌস্তুভ নায়েক এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুহৃতা পাল।
সূত্রের খবর, কৌস্তুভ, সুহৃতা ও ইন্দ্রনীলের নাম সুপারিশ করে নবান্নে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তর তাঁদের এক জনকে বেছে নেবেন। এ দিন যে দু’টি পোস্টার সাঁটা হয়েছে, তার একটিতে ইন্দ্রনীল, পার্থপ্রতিম, ইন্দ্রজিৎ ও অমিতের কাজের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়ে নীচে কৌস্তুভের ছবি দিয়ে তাঁকে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা হওয়ার আগাম শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। প্রশ্ন তুলেছে, ওই চার জনের থেকে অভিজ্ঞতায় কম হলেও, কৌস্তুভ কী ভাবে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা হচ্ছেন? অন্য পোস্টারে সুহৃতা ও কৌস্তুভের ছবি দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দাবি করা হয়েছে, উত্তরবঙ্গ গোষ্ঠীর আশীর্বাদে তাঁদের এক জন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা হচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy