অবরোধ উঠল রুবি মোড়ে। — ফাইল চিত্র।
ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার অটো-সহ শতাধিক গাড়ির চালকদের বিক্ষোভের জেরে যানজটের সৃষ্টি হয় বাইপাসে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, পাম্পে এসে সিএনজি পাচ্ছেন না। দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে ‘পুলিশি অত্যাচার’-এর মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা।
সোমবার সকালে রুবির মোড়ে জড়ো হয় বিভিন্ন রুটের অটো। পাশাপাশি সিএনজি চালিত চার চাকা গাড়ি চালকেরাও সেখানে আসেন। অবিলম্বে সব পাম্পে সিএনজি গ্যাসের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে চালকেরা পথ অবরোধ করেন। বাইপাসের উপর এই রাস্তায় কমপক্ষে ২৫০টি অটো আড়াআড়ি ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ায় অন্য সব বাস, ট্যাক্সিও আটকে যায়। চালকেরা রাস্তায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। মূলত বাইপাসের একটা অংশ অর্থাৎ রুবি থেকে চিংড়িঘাটামুখী লেনটিতেই অবরোধ করেছিলেন তাঁরা।
গাড়িচালকদের অবরোধে দুর্ভোগের কবলে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। অফিস টাইমে রাস্তায় আটকে পড়েন তাঁরা। সেই কারণে সময়ে অফিসে পৌঁছতে পারেননি অনেকেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কসবা এবং আনন্দপুর থানার পুলিশ। পুলিশকে দেখে আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন গাড়ি চালকেরা।
তাঁদের দাবি, কলকাতার সব পাম্পে সিএনজি পাওয়া যায় না। যে কয়েকটা পাম্পে গ্যাস মেলে সেগুলিতে লম্বা লাইন পড়ে। দীর্ঘ ক্ষণ সেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গ্যাস ভরানোর জন্য। তবে বেশি ক্ষণ রাস্তায় দাঁড়ানোও বিপদ। পুলিশ এসে জুলুম করে। জরিমানার কাগজ হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ বচসা চলে অবরোধকারীদের। শেষ পর্যন্ত পুলিশের আশ্বাস পাওয়ার পরই অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন এমন অবরোধের মুখে পড়ে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষেরা। বাসেই অনেক ক্ষণ বসে থাকতে হয় তাঁদের। সেই সঙ্গে সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় চিন্তায় পড়েন অভিভাবকেরা। তবে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy