পড়ুয়াদের প্রশংসা পেল না মেট্রো রেল।
মেট্রো পরিষেবাকে কারা কী ভাবে দেখেন, সে কথা জানতেই স্বচ্ছতা পক্ষে সোমবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টদের ওই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছিল।
সেখানে প্রথমেই ডাক পড়ে পড়ুয়াদের। মেট্রোকর্তাদের আশা ছিল, স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা মেট্রোর পরিচ্ছন্নতা এবং যাতায়াতের স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে প্রশংসাই করবেন। কিন্তু তাঁদের খানিকটা অস্বস্তিতে ফেলেই নিরাপত্তার ফাঁকফোকর, অপরিচ্ছন্নতা ও টিকিট কাউন্টারের অপ্রতুলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পড়ুয়ারা। অস্বস্তিতে পড়লেও পড়ুয়াদের মতামত মন দিয়ে শোনেন মেট্রোর নতুন জেনারেল ম্যানেজার পি সি শর্মা এবং চিফ অপারেশনস ম্যানেজার সাত্যকি নাথ।
এ দিন ক্যালকাটা গার্লস স্কুলের ছাত্রী মেহদি রায় বলেন, “মেট্রোয় স্ক্যানার সব সময়ে কাজ করে না। লিফট-এসক্যালেটরেও বিস্তর সমস্যা।” লোরেটো কলেজের ছাত্রী উদিতা রায় বলেন, “মেট্রো স্টেশন অনেক সময়ে নোংরা থাকে। মহিলারা নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন। হাতের কাছে সাহায্য পাওয়া নিয়েও আশঙ্কা থাকে।”
খালসা স্কুলের ছাত্র অভিষেক কুমার শোনাল আরও মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কথা। তার কথায়, “এক বার মত্ত এক যাত্রীর হুমকির মুখে পড়েছিলাম। প্রতিবাদ করতেই তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। বিষয়টি রক্ষীদের জানাই। কিন্তু তাঁরা কিছু করার আগেই সেই ব্যক্তি পালিয়ে যান।”
শাখাওয়াত মেমোরিয়ালের ছাত্রী রূপসা মিত্র অবশ্য মেট্রোর প্রশংসাই করেন। বিশিষ্টদের মধ্যে পরিবেশকর্মী বনানী কক্কড়, চিত্র পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন, ইন্দো-জার্মান চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি সাব্রিনা পাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন। বনানী এবং অশোক মেট্রোযাত্রার সুখের অভিজ্ঞতার কথাই বলেন। পাশাপাশি, মেট্রো পরিষেবা কী ভাবে আরও ভাল হতে পারে, সে পরামর্শও দেন। মেট্রো রেল পুলিশের কর্ত্রী অপরাজিতা রাই জানান, তাঁরা চেষ্টা করছেন মেট্রোর নিরাপত্তা ভবিষ্যতে আরও আঁটোসাঁটো করার।
মেট্রোকর্তারা অবশ্য পড়ুয়াদের সমালোচনার ইতিবাচক দিকটাই দেখছেন। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দ্রুত সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাকেও আরও বেশি সক্রিয় করে তোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy