ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে শুভাশিসবাবু। রবিবার, খড়দহ থানায়। — নিজস্ব চিত্র
আবারও ট্যাক্সিচালকের সততার সাক্ষী রইল শহর। কিছু দিন আগে ডানলপে কনের গয়না ভর্তি ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ট্যাক্সিচালক। আর শুক্রবার আমেরিকা প্রসাদ নামে এক ট্যাক্সিচালকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র-সহ ব্যাগ ফেরত পেলেন জামশেদপুরের বিজয় গার্ডেনের বাসিন্দা শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে দমদম বিমানবন্দর থেকে মেয়েকে আনতে গিয়েছিলেন শুভাশিসবাবু। সেখান থেকে আমেরিকাবাবুর ট্যাক্সি চ়ড়ে সোজা চলে যান হাওড়া স্টেশনে। গন্তব্য ট্রেনে পড়ে জামশেদপুর। তাঁদের ব্যাগটি ছিল ট্যাক্সির পিছনে। ব্যাগে ছিল জামা-কাপড়, সার্টিফিকেট, কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগপত্র। এ দিন যানজট থাকার কারণে স্টেশনে ট্যাক্সিটি পৌঁছয় ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে। ট্রেন ধরার তাড়ায় ব্যাগের কথাও বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে তা মনে পড়ায় প্রথমে ট্যাক্সিচালকের বিবরণ দিয়ে প্রিপেড ট্যআক্সি স্ট্যান্ডে খোঁজ নেন। পরে হাওড়ার জিআরপি বুথে বিষয়টি জানিয়ে ডায়েরি করেন শুভাশিসবাবু। পরের ট্রেন ধরে রওনা দেন জামশেদপুরের উদ্দেশ্যে।
এ দিকে, সোদপুরের বাসিন্দা আমেরিকাবাবু স্টেশনে যাত্রী নামিয়ে বাড়ি ফিরে যান। ট্যাক্সি পরিষ্কারের সময়ে ব্যাগটি তাঁর নজরে পড়ে। তক্ষুনি বিষয়টি তিনি কলকাতা ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে জানান। সেখান থেকে খড়দহ থানায় ব্যাগটি জমা দিয়ে বিষয়টি লিখিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুক্রবারই আমেরিকাবাবু ব্যাগটি থানায় জমা করে। ওই রাতেই খড়দহ থানার আইসি মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় শুভাশিসবাবুকে ফোনে জানান, তাঁর একটি ব্যাগ থানায় জমা রয়েছে। ওই ব্যাগের ভিতরেই মিলেছে শুভাশিসবাবুর নম্বর।
খড়দহ থানায় এসে তাঁকে ব্যাগটি নিয়ে যেতে বলা হয়। রবিবার দুপুরে খড়দহ থানায় ট্যাক্সিচালক আমেরিকাবাবুর সামনেই শুভাশিসবাবুর হাতে তুলে দেওয়া হয় ব্যাগটি। ব্যাগ ফেরত পেয়ে আপ্লুত শুভাশিসবাবু। ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্যাক্সিচালক আমেরিকাবাবু এবং পুলিশকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy