ভূপতিত: কলকাতা গেট থেকে পড়ে গিয়েছে গ্লোবটি। ছবি: শৌভিক দে
নিউ টাউনে নির্মীয়মাণ কলকাতা গেটে শনিবার রাতে বিশ্ব বাংলা গ্লোব নীচে পড়ে যায়। যদিও এই দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে হিডকো সূত্রের খবর, ওই গ্লোব এবং লোহার স্তম্ভের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পরেই পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা হিডকো। রবিবার হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন-সহ অন্য আধিকারিকেরা গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখেন। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে হিডকোর চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে। সেই রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নির্মাণকারী সংস্থাকে গ্লোবটি ঝোলানোর কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে হিডকো।
হিডকো সূত্রের খবর, কলকাতা গেটের ৫৫ মিটার উচ্চতার স্তম্ভ, ২৫ মিটার উচ্চতায় ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ, গ্যালারি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেখানে ৫৩ মিটার উচ্চতায় বিশ্ব বাংলা নামাঙ্কিত একটি ধাতব গ্লোবও ঝুলন্ত অবস্থায় রাখার পরিকল্পনা ছিল। শনিবার দুপুর থেকে গ্লোবটি উপরে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল। ক্রেন, তিন দিক থেকে লোহার তার এবং কপিকলের মতো যন্ত্র দিয়ে তা উপরে তোলা হচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ ওই গ্লোবটি যখন প্রায় ৪০ মিটার উঁচুতে, তখন একটি তার ছিঁড়ে যায়। এর জেরে প্রায় ৭ টন ওজনের গ্লোবটি এক দিকে হেলে যায়। অন্য তারগুলি ভার রাখতে না পারায় গ্লোবটি ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামতে শুরু করে। বিপদ বুঝে শ্রমিকেরা নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। ৭ মিটার মতো উচ্চতা থেকে সেটি জোরে রাস্তার উপরে আছড়ে পড়ে।
হিডকো সূত্রের খবর, গ্লোবের ভিতরে একটি লোহার বিম এবং বাইরের ফাইবার গ্লাসের আবরণের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা। প্রাথমিক সমীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারদের একটি অংশ মনে করছেন যে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার করে গ্লোবটি তোলা হচ্ছিল, তাতে কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ফলে গ্লোবটির ভার রাখা সম্ভব হয়নি। তবে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে হিডকো সূত্রে খবর। পাশাপাশি নির্মাণকারী সংস্থাকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
গ্লোবটিকে উপরে তোলার সময়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শনিবার দুপুর ১২টা থেকেই আকাঙ্খা মোড়, ইউনিটেক এবং নিউ টাউন বাসস্ট্যান্ডের দিক থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছিল পুলিশ। নারকেলবাগান মোড় থেকে অন্য রাস্তায় গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করছে প্রশাসনের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy