রামগড়ের বিদ্যাসাগর কলোনিতে জন্ডিস আক্রান্তের বাড়িতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা ভাঙার খরচ এ বার পেতে চলেছেন কলকাতা পুরসভা নিযুক্ত ঠিকাদারেরা। ২০১৬ সালে সেই কারখানা ভাঙার কাজ হলেও পুরসভার ঠিকাদারদের টাকা কে মেটাবে, তা নিয়ে শুরু হয় টালবাহনা। কারণ, সিঙ্গুর কলকাতা পুর এলাকার বাইরে। ফলে সেখানকার কাজে কলকাতা পুর প্রশাসন কী ভাবে খরচ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাতেই আটকে যায় টাকা মেটানোর পদ্ধতি।
সম্প্রতি রাজ্যের শিল্প এবং বাণিজ্য দফতর সেই টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে। পুরসভা সূত্রের খবর, তারাও বকেয়া বিলের হিসেব পাঠিয়ে দেবে হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে। সেখান থেকেই ঠিকাদারদের টাকা মেটানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
আদালত সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানার জমি চাষিদের ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দিলে ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে সেখানকার কাঠামো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর জন্য রাজ্যের পূর্ত, কেএমডিএ, এইচআরবিসি এবং কলকাতা পুরসভাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুরসভার নথি বলছে, সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানায় মোট ১০টি শেড ছিল। তার ৭টি ভাঙার দায়িত্ব পড়ে কলকাতা পুরসভার উপরে। দ্রুত সেই কাজ শেষ করতে গোটা দশেক ঠিকাদার সংস্থাকে নিযুক্ত করে পুর প্রশাসন। সেই কাজে খরচ হয় প্রায় ৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অক্টোবরে কাজ সম্পন্ন হলে টাকা মেটানো নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈঠকে পুর ভাণ্ডার থেকে টাকা মেটানোর বিষয়টি অনুমোদন করার প্রস্তাব ওঠে। কিন্তু নানা প্রশ্নের চাপে তা আটকে যায়। তাতে বিপাকে পড়েন ঠিকাদার সংস্থার মালিকেরা। পুর প্রশাসনকে তাঁরা জানান, রাজ্যের অন্য তিনটি দফতরের নির্দেশে যে ঠিকাদারেরা কাজ করেছেন, তাঁদের সকলের বিল মিটিয়ে দেওয়া
হয়েছে। শুধু আটকে রয়েছে কলকাতা পুরসভা থেকে নিযুক্ত ঠিকাদারদের টাকা। এর জেরে স্বভাবতই বিব্রত হতে হয় পুর প্রশাসনকে।
পুরসভা সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতার পুর কমিশনারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পুরসভার নিযুক্ত ঠিকাদারদের বকেয়া টাকা হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাকার পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি ২০ লক্ষ। বকেয়া বিলের কপি হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠাতে বলা হয়। সেই মতো পুর প্রশাসন বিলের কপি তৈরি করে দু’-এক দিনের মধ্যেই হুগলির জেলাশাসকের অফিসে পাঠাচ্ছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy