বিদ্যাসাগর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই নাবালিকা। —ফাইল চিত্র।
মৃত্যুর পাঁচ দিনের মাথায় ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়ে দিলেন, নিউ আলিপুরের বছর দশেকের বালিকাটিকে খুনই করা হয়েছে। সরু কোনও কিছু পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে তাকে। আর সেই কারণেই মেয়েটির গলার পিছনে হাল্কা ‘স্ট্র্যাঙ্গুলেশন মার্ক’ পাওয়া গিয়েছিল।
চিকিৎসকের এই বক্তব্যের ভিত্তিতেই পুলিশ অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে। যদিও মৃতার পরিবার ময়না-তদন্তের এই রিপোর্টের পরেও দাবি করেছে, মেয়েটির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেনি। তার কিছু অসুস্থতার কথাও জানিয়েছেন পরিজনেরা। পরিবার জানিয়েছে, মেয়েটির মৃগী ছিল। মাঝে মাঝেই তার খিঁচুনি মতো হত। কিন্তু সে কথা তাঁরা প্রথম দিন বিদ্যাসাগর হাসপাতালে মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার পরে বলেননি কেন? কেন তাঁরা হাসপাতালে বলেন যে, গত সাত দিন ধরে তাঁদের মেয়ে কোনও কিছুতে ভয় পাচ্ছিল? এমনকি সেই ভয়ে শৌচাগারেও যেতে চাইছিল না।
শুধু তা-ই নয়, রবি ও সোমবার দু’দিনই পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল, ঘটনার দিন সকালে জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়েছিল ওই বালিকা। কোনও কিছু দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল সে। পরে দুপুরে তার কোনও সাড়া না পেয়ে মা হাসপাতালে নিয়ে যান।
পুলিশ ময়না-তদন্তের রিপোর্টের পাশাপাশি পরিবারের দেওয়া এই সমস্ত তথ্যও মিলিয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করছে, ঠিক কী হয়েছিল শুক্রবার। এমনকি, ওই বালিকার মৃগী-সহ আরও যে যে অসুস্থতার কথা পরিবারের তরফে বলা হচ্ছে, সেগুলি কতটা সত্যি, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই ময়না-তদন্তের রিপোর্টেও যে হেতু প্রথমে ধোঁয়াশা রাখা হয়েছিল, তাই তদন্তকারীরা দ্বিতীয় মতামতও নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy