—প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজো শেষ। এখনও মণ্ডপ খোলার কাজ সর্বত্র শুরু হয়নি। এই সময়ে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। তাই পুজোকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মণ্ডপ তৈরির জন্য রাস্তায় বা মাটিতে যে গর্ত করা হয়েছিল, অবিলম্বে তা বুজিয়ে দিতে হবে।
পুজোর সময় থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও ডেঙ্গি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুরসভা সূত্রের খবর, পুজোর আগে যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০-৪০, সেখানে পুজোর সময় থেকে দৈনিক পাঁচ-সাত জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ দমদমে জ্বর ও ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়েছে। আট জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পুজোর আগেই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল পুর প্রশাসন। পুজোর দিনগুলিতেও এলাকায় ও মণ্ডপে আবর্জনা সাফাই থেকে মশার ওষুধ স্প্রে এবং ব্লিচিং ছড়ানোর কাজ করেছেন পুরকর্মীরা। কাজ করেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও। পুর প্রশাসনের বক্তব্য, অতীতে দেখা গিয়েছে যে, মণ্ডপ খোলার পরেও গর্তগুলি বুজিয়ে দেওয়া হয় না। সেখানে জল জমে সমস্যা বাড়ে। এ বার এ বিষয়ে কড়া মনোভাব নেওয়া হয়েছে। গর্ত সময় মতো বুজিয়ে দেওয়া না হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
দক্ষিণ দমদমের মতো দমদম পুর এলাকাতেও পুজোর মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন মানুষ। দুই পুরসভাই পুজোয় বিশেষ নজরদারি এবং পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি নিয়েছিল। পুজোর আয়োজকেরাও তাতে অংশ নেন। প্রতিদিন মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়েছে। দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, পুজো শেষ হলেও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কাজের গতি বজায় রয়েছে।
বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, মশার দাপট এখনও ভাল মতো রয়েছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, পুজোর দিনগুলিতে যে ভাবে পরিকল্পনামাফিক কাজ হয়েছে, পুজো মরসুমের বাকি সময়েও সে ভাবে কাজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy