Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Arrest

মাদকের টোপ দিয়ে অপহরণ চক্রের পর্দা ফাঁস, ধৃত আরও এক

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা একটি অপহরণ-চক্র চালাত। যাদের কাজ ছিল, মহিলাদের ভুয়ো প্রোফাইল খুলে তার মাধ্যমে বিভিন্ন যুবককে বেছে নিয়ে আলাপ জমানো।

An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৩৭
Share: Save:

প্রথমে সমাজমাধ্যমে জনৈক মহিলার নামে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করা। এর পরে সেই মহিলার তরফে মাদক সেবনের প্রলোভন। এই কায়দায় এক যুবককে অপহরণের অভিযোগে দ্বিতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শোভন পুরকাইত। রবিবার গভীর রাতে বারুইপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, অপহরণে ব্যবহৃত এসইউভি নিয়ে পালানোর সময়ে ধরা পড়ে শোভন। এই মামলায় রবিবারই হরিদেবপুর থানার পুলিশ কুহক সোম নামে আর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা একটি অপহরণ-চক্র চালাত। যাদের কাজ ছিল, মহিলাদের ভুয়ো প্রোফাইল খুলে তার মাধ্যমে বিভিন্ন যুবককে বেছে নিয়ে আলাপ জমানো। এর পরে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের অপহরণ করে টাকা আদায় করা হত। পুলিশের দাবি, মূলত মাদকাসক্ত যুবকদেরই বেছে নিত অভিযুক্তেরা। নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁদের ডেকে এনে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে মুক্তিপণ বাবদ টাকা আদায় করত। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই কৌশলে দক্ষিণ শহরতলিতে একাধিক অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে টাকা আদায় করেছে ধৃতেরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, বেহালার শখেরবাজারের বাসিন্দা অরিত্র দাসের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল এক তরুণীর। অভিযোগ, ওই তরুণী অরিত্রকে মাদক সেবনের প্রলোভন দেখিয়ে হরিদেবপুরের জোড়াপুকুর এলাকায় আসতে বলে। সেই মতো শনিবার রাতে ওই যুবক নির্দিষ্ট এলাকায় গেলে তাঁকে জোর করে একটি এসইউভি-তে তুলে নেয় পাঁচ যুবক। তারা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে অরিত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বেহালা ও ঠাকুরপুকুরের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি নিয়ে ঘোরে তারা এবং অভিযোগকারীর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ এক লক্ষ টাকা দাবি করে। এক তদন্তকারী জানান, পরিবারের তরফে প্রায় ৪১ হাজার টাকা জোগাড় করে অরিত্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হলে তা এটিএম থেকে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। বাকি টাকা পরের দিন দেওয়া হবে বলায় বেহালায় অরিত্রকে ছেড়ে দিয়ে যায় তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত কুহক মুক্তিপণের বাকি টাকা চেয়ে রবিবার ফোন করলে সেই সূত্রে তাকে প্রথমে ধরা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় শোভনকে। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, চক্রের এক জন নিজেকে পুলিশের ‘স্যর’ বলে পরিচয় দিত। সেই ব্যক্তির আসল পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police investigation Baruipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE