—প্রতীকী চিত্র।
আগরপাড়ায় পরিত্যক্ত কারখানার ভিতর থেকে আট বছরের বালকের দেহ উদ্ধারের পরে চার দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খুনের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তবে, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের দাবি, তদন্ত অন্তিম পর্যায়ের কাছাকাছি পৌঁছলেও কিছু সূত্র সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া হচ্ছে।
চার দিন নিখোঁজ থাকার পরে গত শনিবার আগরপাড়ার একটি কারখানার ভিতরে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে কাপড় গোঁজা অবস্থায় উদ্ধার হয় ইন্তাজ হুসেন নামে ওই বালকের দেহ। তদন্তে নেমে বিভিন্ন দিক ও সূত্র তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন। তবে একটি বিষয়ে বিস্মিত তাঁরাও। তা হল, কোনও ভাবেই কিছু বলতে নারাজ ইন্তাজের বাবা-মা। তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। ইন্তাজ তাঁদের বড় ছেলে। তার ছয় ও দেড় বছরের দুই ভাই রয়েছে।
দেহ উদ্ধারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত স্থানীয় তিন যুবককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এ বিষয়ে তদন্তকারীরাও কিছু খোলসা করতে রাজি নন। তবে জানা যাচ্ছে, ওই কারখানায় তিন যুবকের যাতায়াত ছিল। যাঁদের এক জন আবার ইন্তাজের বাবা নাসিমের পরিচিত। আদতে দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা হলেও আগরপাড়া নিউ লাইনে বসবাসকারী বছর পঁচিশের এক যুবককে সন্দেহের বশে পুলিশ নিয়ে এসেছে বলে মঙ্গলবার খড়দহ থানায় এসে দাবি করেন তাঁর মা। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে জল আনতে গিয়েছিল। সেই সময়ে পুলিশ নিয়ে এসেছে। ছেলেটার শরীরও দু’দিন ধরে ভাল নয়।’’
ওই তিন জনের মধ্যে এক যুবককে বছর দেড়েক আগে একটি চুরিতেও সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ধরেছিল। তাঁর পরিজনদের দাবি, তদন্তের স্বার্থে প্রতিদিনই থানায় আসতে বলা হয়েছে তাঁকে। আর এক জন দিনমজুরের কাজ করেন। তাঁকে কাজ থেকে ফেরার সময়ে বি টি রোড থেকে পুলিশ ধরে বলে খবর। ওই কারখানায় দফায় দফায় তদন্তকারীরা যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy