আবাসনের নীচে দমকলের গাড়ি, পড়শিদের ভিড়। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।
দমদমের মল রোডের আবাসনে বৃদ্ধা মা ও তাঁর প্রৌঢ়া মেয়ের মৃত্যু কী ভাবে হল, তা ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও জানতে পারল না পুলিশ।
শুক্রবার ওই আবাসনের ১০৩ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে স্বাতী মুখোপাধ্যায় ও তাঁর মা দীপ্তি মুখোপাধ্যায়ের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। স্বাতীর দেহে একাধিক ক্ষতও ছিল। শনিবার তাঁর স্বামী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, দুপুরে ফোনে স্বাতী তাঁকে জানান, সল্টলেক থেকে বড়বাজার ও গিরিশ পার্ক হয়ে তিনি বাড়ি ফিরবেন। স্ত্রীর কথায় কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না বলেই দাবি করেছেন তিনি। বাড়ি ফেরার সময়ে মা দীপ্তিদেবীর সঙ্গে কথা বলে কোনও অস্বাভাবিকতা টের পাননি চেন্নাইয়ে কর্মরত ছোট মেয়ে শুচিস্মিতা মুখোপাধ্যায়ও। সুব্রতের দাবি, ‘‘পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার ধারণা, শাশুড়িকে আগেই মারা হয়েছে। তার পরে আমার স্ত্রী ফ্ল্যাটে ঢুকতেই ওকে মারা হয়। স্বাতীর হাতে সব সময়ে আংটি ও সোনার গয়না থাকত। সেগুলি পাওয়া যাচ্ছে না।’’
মা ও মেয়ের রহস্য-মৃত্যু ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন পরিজনেরা। তাঁদের বক্তব্য, দীপ্তিদেবী হাঁটাচলা করতে পারতেন না। দু’জনের কেউই রান্নাঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার শোয়ার ঘরে টেনে আনার মতো সক্ষম ছিলেন না। বস্তুত, ঘটনাক্রম ঘিরে বেশ কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, স্বাতীর দু’হাতের শিরা এবং গলায় যে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছিল। কেউ আত্মঘাতী হলে তাঁর শরীরে এ ধরনের একাধিক আঘাত থাকার কথা নয়। দীপ্তিদেবীর গায়ে আগুন ধরাল কে? শৌচাগারে উদ্ধার হওয়া রক্তে ভেজা রুমালটাই বা কার? মা-মেয়েকে খুন করা হয়ে থাকলে তারই বা কী কারণ?
এ দিন ডিসি (জোন ২) আনন্দ রাই বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy