আগুনে পুড়ে গিয়েছে দোকানে রাখা কাপড়। মঙ্গলবার, মেটিয়াবুরুজের মার্কেটে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী।
আগুন লেগে কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল গোটা বাজার। নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে আসায় ঘুম ভেঙে যায় সেখানে রাত্রিবাস করা নিরাপত্তাকর্মীদের। তাঁরাই চিৎকার করে আশপাশের বাসিন্দাদের খবর দেন। মঙ্গলবার ভোরে মেটিয়াবুরুজের বটতলা এসি মার্কেটে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় একতলায় থাকা তিনটি দোকান। ক্ষতি হয়েছে আশপাশের বেশ কয়েকটি দোকানেরও। খবর পেয়ে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে দমকলের প্রাথমিক অনুমান।
মেটিয়াবুরুজের বটতলায় তেতলা ওই এসি মার্কেটে কয়েকশো কাপড়ের দোকান রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোর চারটে নাগাদ মার্কেটের একতলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা চিৎকার করতে শুরু করেন। মার্কেটে কোনও অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এর পরে আশপাশের বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজারের এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, স্থানীয়েরা আগুন নেভানোর কাজে হাত না দিলে গোটা বাজারটিই পুড়ে যেত। সে ক্ষেত্রে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারত।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের মূল প্রবেশপথ তালাবন্ধ। রক্ষীরা সেই তালা খুলতেই বোঝা গেল, ভিতরে তখনও দমবন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা। ভস্মীভূত তিনটি দোকানে কাপড়ের বড় থান থাকত রফতানির জন্য। আগুনে তাঁদের বড় অঙ্কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ দিন আগুনের খবর পেয়েই মালিকেরা ছুটে আসেন এবং দোকানে রাখা কাপড় সরাতে থাকেন। তবে পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকেরা আগুন নেভানোর কাজে স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন। তাঁরা জানান, ঘিঞ্জি এলাকায় দমকলের গাড়ি পৌঁছতে দেরি হয়। কিন্তু প্রথমেই যে ভাবে বাসিন্দারা জল দিয়ে আগুন নেভানোয় হাত লাগিয়েছেন, তা থেকে সকলের শিক্ষা নেওয়া দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy