আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
তিন মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গোলমালের অভিযোগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেক-এর প্রথম বর্ষের ছয় পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করলেন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার নুরসাদ আলি বলেন, ‘‘পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত ওই ছ’জন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবেন না।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এমটেক কোর্সে ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’-এর (এআইসিটিই) অনুমোদন না থাকা নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। এক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত বইয়ে এম টেক কোর্সকে এআইসিটিই-র অনুমোদিত হিসেবে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু আদতে এই কোর্সের অনুমোদন পায়নি তারা।
পড়ুয়াদের দাবি, ২০১৭ সালে ভর্তির সময়েও তাঁরা জানতেন এআইসিটিই অনুমোদিত কোর্সেই ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু পরে জানা যায়, তা ঠিক নয়। যদিও রেজিস্ট্রার এ দিন বলেন, ‘‘ভর্তির সময় পড়ুয়াদের জানানো হয়েছিল পুরনো বইয়ের এআইসিটিই-র অনুমোদনের কথা থাকলেও সেটা ভুল তথ্য। এখন তাঁরা অস্বীকার করছেন।’’ তিনি জানান, ৭৫ জন পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ২০ জন আন্দোলন করছেন। তাঁদের বৃত্তির দাবি রয়েছে। এ নিয়ে তিন মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে এবং কর্মীদের গালিগালাজ করা হয়েছে, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, ওই অনুমোদন বাধ্যতামূলক নয়, তবে বিভিন্ন কোম্পানি মনে করে এই অনুমোদন থাকলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ভাল। এক ছাত্র বলেন, ‘‘অনুমোদন না থাকায় ভাল কোম্পানিতে চাকরি পাব না। এটা আগে জানানো হয়নি।’’ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সারা রাত ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল নুরসাদ-সহ অধিকাংশ শিক্ষকদের। শুক্রবার ঘেরাও উঠলেও অবস্থান চলতেই থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy