দিল্লির এক সংগ্রহশালা থেকে মুঘল আমলে তৈরি কাশ্মীরি শাল চুরির অভিযোগে কলকাতা থেকে দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সপ্তাহ দুয়েক আগে রাজধানীর তিলক মার্গ থানা এলাকার ‘ন্যাশনাল হ্যান্ডিক্রাফটস অ্যান্ড হ্যান্ডলুমস মিউজিয়াম’ থেকে ১৬টি প্রাচীন শাল তারা চুরি করে, যা প্রদর্শনীর জন্য সেখানে রাখা ছিল। ধৃতদের কাছ থেকে অবশ্য চুরি যাওয়া শালগুলি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের একটি তদন্তকারী দল সোমবার রাতে টালিগঞ্জ থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতদের তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা একটি হোটেলে লুকিয়ে ছিল।
সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল জানান, ধৃতদের নাম বিনয় পারমার এবং তরুণ হরগরিয়া। এদের মধ্যে তরুণ প্রাচীন জিনিস কেনাবেচা করে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তার একটি দোকানও রয়েছে। আর বিনয় ওই মিউজিয়ামে গবেষক হিসেবে ঢুকেছিল। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে টালিগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। চুরির ঘটনার পর থেকেই দু’জনের মধ্যে অসংখ্য বার মোবাইলে কথা হয়েছিল।
দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, ওই শহরের প্রগতি ময়দান এলাকার ভৈরোঁ মার্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ন্যাশনাল হ্যান্ডিক্রাফটস অ্যান্ড হ্যান্ডলুমস মিউজিয়াম’। গত ২৯ অক্টোবর, রবিবার, রাতে সংগ্রহশালাটি বন্ধ হয়ে যায়। পরের দিনও সেটি বন্ধ ছিল। ৩১ তারিখ, অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে সেটি আবার খোলে। সে সময়ে ওই প্রদর্শনীর গ্যালারির দায়িত্বে ছিলেন শাহজাহান আনসারি। তিনিই প্রথম দেখেন, শালগুলি প্রদর্শন বোর্ড থেকে উধাও। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, মুঘল আমলে তৈরি হওয়া ওই শালগুলি ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে কাশ্মীর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার বর্তমান আনুমানিক বাজারমূল্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই দিন সংগ্রহশালায় বিনয় এসেছিল। কিন্তু তাকে বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিনয় ওই সংগ্রহশালার ভিতর থেকেই তরুণের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে সে দিন। তার পরে দু’জনেরই মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তাদের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান অনুসরণ করে কলকাতায় আসেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy