প্রতীকী ছবি।
প্রায় চার কোটি টাকার চোরাই সোনা-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। শনিবার দক্ষিণেশ্বর রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতারের পরে তাঁদের রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল। ডিআরআই-এর আইনজীবী তাপস বসু জানিয়েছেন, ধৃত দুই ব্যক্তিকে আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ডিআরআই সূত্রের খবর, ধৃত দুই ব্যক্তিই মণিপুরের চুয়াচন্দ্রপুরের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে ৫৪ বছরের পাউডো খাম প্রাক্তন সেনাকর্মী। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন ৪২ বছরের নাং সুয়ান লিয়েন। পাউডোর কাছ থেকে তাঁর নিজের আধার কার্ড ছাড়াও লিয়ান সিন থাং নামের আরও একটি আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। সেখানেও পাউডোর ছবি সাঁটা ছিল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শিলচর থেকে সোনা নিয়ে প্রথমে দু’জনে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে আসেন। সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চেপে শনিবার রাতে আসার কথা ছিল কলকাতায়। সে খবর পেয়ে যান গোয়েন্দারা। প্রথমে ঠিক ছিল তাঁরা শিয়ালদহ স্টেশনেই আসবেন। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তাঁরা
দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে নেমে পড়েন। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বদলের খবরও ডিআরআই পেয়ে যায়। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে তাঁদের নিয়ে চলে আসা হয় মধ্য কলকাতার ডিআরআই অফিসে। দু’জনের সঙ্গে থাকা দু’টি ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে
৬০টি সোনার বিস্কুট পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে ওজন ন’কিলোগ্রাম ৯৬৩ গ্রামের কিছু বেশি। যার বাজারদর প্রায় ৩ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা বলে ডিআরআই আদালতে জানিয়েছে। অনুমান, মায়ানমার থেকে পাচার হয়ে ভারতে এসেছে ওই সোনা।
মায়ানমার ও মণিপুরের মোরে সীমান্ত দিয়ে এই চোরাই সোনা হামেশাই ভারতে ঢোকে। হয় সড়কপথে, নয় ট্রেনে, নতুবা বিমানে উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও শহর থেকে তা কলকাতায় এসে এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যত্র। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে কড়া তল্লাশি শুরু হওয়ায় মূলত ট্রেন ও সড়কপথেই এখন সোনা পাচার হচ্ছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। তবে, সম্প্রতি কোচবিহার-বাংলাদেশ সীমান্তের দিনহাটা দিয়েও যে সোনা পাচার হচ্ছে, তা জানতে পারে ডিআরআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy