প্রতীকী ছবি।
চলন্ত অবস্থাতেই মাঝেমধ্যে স্কুটারের স্ট্যান্ড নামিয়ে দিচ্ছেন চালক। তাতে রাস্তার সঙ্গে ঘর্ষণে ছিটকে বেরোচ্ছে ফুলকি। কালীপুজোর রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এমন ভেল্কি দেখাতে গিয়েই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন দমদমের গোরাবাজারের বাসিন্দা, বছর তেইশের সন্দীপ দে। চোট পেয়েছেন তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য আরোহীও।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণেশ্বরমুখী রাস্তা ধরে যাওয়ার সময়ে দুর্গানগরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আরোহী দুই যুবকের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। রাস্তার উপরে স্কুটার নিয়ে কেরামতি দেখাচ্ছিলেন সন্দীপ। অন্য আরোহীর নাম জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে দু’জনেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, দুর্গানগরের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা প্রদ্যোৎ দে বলেন, ‘‘বাইক নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যাচ্ছিলাম। ছেলেটি মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে স্কুটারের স্ট্যান্ড নামিয়ে দিচ্ছিল। তা থেকে আগুনের ফুলকি বেরোচ্ছে দেখে ওরা চিৎকার করছিল।’’ কেরামতি এখানেই শেষ নয়। প্রদ্যোৎবাবুর কথায়, ‘‘আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকা ডান দিক থেকে স্কুটারটি আমার বাইকের সামনে চলে এল। আমি থতমত খেয়ে বাইকের গতি ধীর করা মাত্র গতি বাড়িয়ে ওরা স্কুটার এক দিকে কাত করে বেরিয়ে গেল। দ্বিতীয় বার ওই কেরামতি দেখাতে গিয়েই রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ল দু’জন।’’
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ডিভাইডার উঁচু করার কাজ চলছে এখন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেরামতি দেখানোর সময়ে রাস্তায় পড়ে থাকা সিমেন্টের টুকরোর উপরে স্কুটারের চাকা উঠে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি সন্দীপ। দু’জনেই রাস্তার ধারে ছিটকে পড়েন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সৌমেন দাস বলেন, ‘‘সন্দীপের আঘাত সব চেয়ে বেশি ছিল। ওর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। অন্য জনের পিঠ-পা ছড়ে যায়।’’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিমতা থানার পুলিশ। দু’জনকে উদ্ধার করে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কালীপুজোর রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণেশ্বরমুখী রাস্তায় দমদম থানার মাঠকলের রাস্তায় আরও একটি ঘটনা ঘটেছে। রাত সাড়ে ১১টার ওই ঘটনায় কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছেন একটি গাড়ির চালক-সহ পাঁচ যাত্রী। পুলিশ সূত্রের খবর, দমদম থেকে বরাহনগর যাওয়ার পথে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির মধ্যে পোড়া গন্ধ পেয়ে চালকের সন্দেহ হয়। চালক ছাড়া গাড়িতে বরাহনগরের বাসিন্দা দুই মহিলা, এক শিশু এবং এক জন পুরুষ ছিলেন। দ্রুত তাঁদের গাড়ি থেকে নামতে বলেন চালক। আরোহীরা নামতে না নামতেই গাড়িটিতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। পুলিশ জানিয়েছে, চালকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই রক্ষা পেয়েছেন আরোহীরা। গাড়িতে কী ভাবে আগুন লাগল, তা জানা যায়নি। দমদম থানায় এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ
দায়ের হয়েছে।
স্কুটার দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গভীর রাতে দুই যুবক বিনা হেলমেটে বেপরোয়া গতিতে স্কুটার চালালে পুলিশেরই বা কী করার আছে! পথ নিরাপত্তা নিয়ে নিরন্তর প্রচার করা হচ্ছে। অভিভাবকদেরও নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy