—প্রতীকী ছবি
আইনজীবীদের আর্থিক সাহায্যে শুক্রবার নিজেদের বাড়ি ফিরে গেলেন মাদক-বিভ্রাটের মামলা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত দুই যুবক। বৃহস্পতিবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ নারকোটিক এজলাসের বিচারক পার্থপ্রতিম দাস মণিপুরের বাসিন্দা জুবের খান ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ফয়েজউদ্দিন শেখকে তথ্য-প্রমাণের অভাবে কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের দায়ের করা মামলা থেকে মুক্তি দেন। তাঁদের আলিপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বিচারকের এজলাসে পেশ করা হয়েছিল। ওই দিনই ছাড়া পেয়েছিলেন জুবের ও ফয়েজউদ্দিন। তাঁদের আইনজীবী মিঠু দাস এ দিন বলেন, “পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরে ওই দু`জনের পরিবারের তরফে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের হাতে বাড়ি ফেরার মতো গাড়িভাড়াও ছিল না। আদালতের কয়েক জন আইনজীবী আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে ওঁরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।”
আদালত সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি কলকাতার টালা পার্ক এলাকা থেকে জুবের ও ফয়েজউদ্দিনকে ২০ কেজি হেরোইন সমেত গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে আদালতে পেশ করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতেরা মাদক পাচারে জড়িত বলেও আদালতে দাবি করেন তদন্তকারী অফিসার। বিচারক ধৃতদের থেকে উদ্ধার হওয়া মাদকের নমুনা কলকাতা ও হায়দরাবাদের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুই সংস্থাই জানিয়ে দিয়েছিল নমুনায় মাদকের কোনও উপস্থিতিই নেই! এর পরেই বৃহস্পতিবার ওই মামলা থেকে জুবের ও ফয়েজউদ্দিনকে মুক্তি দেন বিচারক।
দুই যুবকের আইনজীবী মিঠু দাস বলেন, “ওই দু’জন মাছ ব্যবসায়ী। কলকাতায় মাছের খাবার কিনতে এসেছিলেন। পুলিশ ওই মাছের খাবারকে মাদক দাবি করে আদালতে মামলা করেছিল। এক বছর তাঁরা জেল হেফাজতে ছিলেন। এর পরে ক্ষতিপূরণ ও তদন্তকারী অফিসারদের শাস্তির দাবিতে উচ্চ আদালতে আবেদন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy