লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে তাঁদের যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলে টহলদার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন তিন ছাত্রী। অভিযোগ, ছাত্রীদের কথায় তেমন আমল দেননি পুলিশকর্মীরা। উল্টে হেনস্থার ঘটনা রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকায় ঘটেছে বলে দায় সারে টালিগঞ্জ থানার টহলদারি পুলিশ।
লালবাজার জানিয়েছে, ওই ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার ঘটনাটিকে আমল না দেওয়া এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে টালিগঞ্জ থানার এক অফিসার এবং এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের নাম এএসআই মান্নানকুমার মাঝি এবং কনস্টেবল দুলাল পাণ্ডে।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ঘটনার দিন বুধবারই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় রবীন্দ্র সরোবর থানা বৃহস্পতিবার রাতে সাদ্দাম হোসেন নামে এক জনকে ধরেছে। তদন্তকারীরা জানান, গত বুধবার রবীন্দ্র সরোবরের একটি কলেজের কিছু ছাত্রী পথনাটিকা করছিলেন। সেখানে মূক-বধির সেজে ভিক্ষা করছিল সাদ্দাম। অভিযোগ, তখনই তিন ছাত্রীর যৌন হেনস্থা করে সে। ছাত্রীরা তাকে ধরে পুলিশকর্মীদের বিষয়টি জানান। কিন্তু পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
চলতি বছরের জুনে শহরে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া-ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্তকে হেনস্থার ঘটনায় পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাস্থল নিজের থানা এলাকার নয় বলে তাঁকে অন্য থানায় পাঠানোর অভিযোগ ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে।
পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, এর পরেই তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। মহিলাদের সঙ্গে কোনও অপরাধ হলে পুলিশ কী করবে, তা নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর (এসওপি) তৈরি করে লালবাজার। বুধবার অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা এসওপি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারীরা জানান, ধৃত মূক-বধির নয়। গ্রেফতার করার পরে সে জানিয়েছে, ভিক্ষার জন্য সে ওই ভুয়ো পরিচয় নিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy