প্রতীকী ছবি।
ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়ার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই বোনের। সমস্যাটা দূরত্বের। আবার বোন ভিন্ দেশে থাকায় ভাই ভাবছেন ফোঁটা নিতে কার কাছে যাবেন? কিন্তু তাতে কী আসে-যায়? প্রবাসী বয়স্ক-বয়স্কা, প্রতিবন্ধী ভাই-বোনেদের জন্য অভিনব ভাইফোঁটা উৎসবের আয়োজন করছে মৎস্য উন্নয়ন নিগম। আজ, শনিবার থেকে কাল সারা দিন— নলবন, নবান্ন ও দিঘার নিগমের রেস্তোরাঁ সেজে উঠছে ভাইফোঁটা উৎসবে।
ধান, দূর্বা, প্রদীপ থেকে চন্দন। ফোঁটার পরে মিষ্টিমুখ করানো রীতি। নিগমের দেওয়া ফিশ ফিঙ্গার, ফিশ ফ্রাই বা মিষ্টির গিফ্ট প্যাকেট ভাইয়ের হাতে তুলে দেবেন বোন। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘প্রবীণ, ও প্রতিবন্ধীরা সমাজে অবহেলিত। তাঁদের কথা ভেবেই এই আয়োজন।’’
পাঁচ রকমের থালি দিয়ে সাজানো হবে উৎসবের প্লেট। দাদার থালি, দিদির থালি, বোনের থালি, ভাইয়ের থালি ও ভাইফোঁটা স্পেশ্যাল থালি। থাকছে বাসমতী চালের ভাত থেকে শুরু করে মাছের পোলাও, বিরিয়ানি। থাকবে মাছের মাথা দিয়ে ডাল, ডাব-চিংড়ি, দই কালিয়া, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, পাবদা-পার্শের ঝাল, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ ভাপা থেকে শুরু করে কাকঁড়ার ঝাল। এ ছাড়াও থাকছে নয়া সামুদ্রিক মাছের পদ।
নিগম সূত্রের খবর, চলতি বছরের মে-জুনে তামিলনাড়ু থেকে ৫১ হাজার কোবিয়া মাছের চারা এনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিগমের জলাশয়ে ছাড়া হয়েছে। এখন সেগুলির প্রতিটির গড় ওজন ২-৩ কেজি। মৎস্যমন্ত্রী জানান, কলাপাতা কোবিয়া এবং ‘স্মোক্ড কোবিয়া উইথ ক্রিম’ থাকবে। নিগমের কর্তাদের দাবি, দ্বিতীয় এই পদটির স্বাদ অনেকটা সাদা রেশমি তন্দুরের মতো।
নিগমের এমডি সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘‘সকাল ১০টায় খুলবে রেস্তোরাঁ। খাওয়ার পরে ভাই-বোনেদের বিনামূল্যে ব্যাটারিচালিত গাড়িতে নলবন ঘোরানো হবে।’’ ফেরার সময় পরিবহণের সুবিধাও করেছে নিগম। সৌম্যজিৎবাবু জানান, নলবনে অ্যাপ-ক্যাবের কাউন্টার খোলা হবে। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীরা যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy