প্রতীকী ছবি।
নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ।
গত ৭ নভেম্বর মহেশতলা থানার কেটোপোলের বেলিয়াডাঙা রোড এলাকার একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে শেখ আনসার আলম (৩৭) নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সোমবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলম মাদকাসক্ত ছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর থানার গোবর্ধনপুর এলাকার বাসিন্দা আলম। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চলতি মাসের পাঁচ তারিখে তাঁকে ওই কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। আগেও কয়েক বার তাঁকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই কেন্দ্রে ফের তাঁর অবস্থার অবনতি হলে আলমকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সেই আলমের মৃত্যু হয়।
সোমবার স্ত্রী আজমিরা বিবি আলমকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে মহেশতলা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজমিরা বলেন, ‘‘ওই কেন্দ্রে আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হত না। এক বার ওঁর চিকিৎসার ভিডিয়ো দেখানো হয়েছিল। পরে জানানো হয়, তিনি মারা গিয়েছেন।’’ তদন্তকারীদের কথায়, মৃত দেহের ময়না-তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টও পাওয়া গিয়েছে। ওই রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। দেহে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু সে কারণেই মৃত্যু হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নেশামুক্তি কেন্দ্রের আধিকারিকদের দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। যদিও তদন্তকারী এক অফিসারের দাবি, আলম মাদকাসক্ত হওয়ায় খুবই দুর্বল ছিলেন। বেশ কয়েক বার পড়ে গিয়ে আঘাতও পেয়েছিলেন তিনি। সেই আঘাতের চিহ্নই তাঁর দেহে রয়েছে সম্ভবত। ভর্তি হওয়ার আগে থেকেই তাঁর গায়ে ওই আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জেরায় দাবি করেছেন নেশামুক্তি কেন্দ্রের আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy