প্রতীকী ছবি।
বন্ধ ফ্ল্যাটের কোল্যাপসিবল দরজায় ঝুলছে অন্য তালা। কিন্তু ফ্ল্যাটের ভিতরে কিছুই বদলায়নি। শুধু বদলেছে বসার ঘরের বাল্বটি। কখনও আবার দেখা গিয়েছে, ঘরে পড়ে খাবারের প্লেট। কয়েক বার এমন দেখার পরে নাকতলার ওই ফ্ল্যাটের বাইরে সিসিটিভি বসিয়েছিলেন মালকিন। তাতেই ধরা পড়ে, তালা ভেঙে বন্ধ ফ্ল্যাটে ঢুকছে ‘অনুপ্রবেশকারী’ এক বৃদ্ধ ও যুবক। এর পরেই নেতাজিনগর থানায় প্রোমোটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন গোয়ার শিক্ষা দফতরের শীর্ষ আধিকারিক নীলাঞ্জনা মিত্র। তাঁর দাবি, তিনি কাউকে চাবি দিয়ে যাননি। যে প্রোমোটার ফ্ল্যাটটি করেছেন, তিনিই কাঠের দরজার নকল চাবি রেখে দিয়ে কাউকে দিচ্ছেন বলে নীলাঞ্জনার অভিযোগ। এখন গোয়ায় বসে সিসিটিভির মাধ্যমে ফ্ল্যাটে নজরদারি চালাচ্ছেন ওই মহিলা।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত জুনে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দেবাশিস সরকার নামে ওই প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিন পান। বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও নীলাঞ্জনা বলছেন, ‘‘অভিযোগ তুলে না নিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন ওই প্রোমোটার। বাধ্য হয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ অভিযুক্ত প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
নীলাঞ্জনার দাবি, ২০০৮ সালে নাকতলা রোডের বাড়িটি প্রোমোটারকে দেন তাঁরা। বদলে টাকা এবং দোতলায় দু’টি ফ্ল্যাট পাবেন বলে চুক্তি হয়। ২০১৫ সালে সেই ফ্ল্যাট পাওয়ার এক বছরের মধ্যে নীলাঞ্জনার মা মারা গেলে ছোট বোনকে গোয়ায় নিয়ে যান তিনি। কয়েক বার শহরে ফিরে তিনি লক্ষ করেন, ফ্ল্যাটের কোল্যাপসিবল গেটের তালা ভাঙা। তবে কাঠের দরজার তালা অটুট। ভিতরে কখনও বদলে গিয়েছে বাল্ব, কখনও মিলেছে খাবারের প্লেট। বন্ধ ফ্ল্যাটে কে ঢুকছে, তা জানতে অতঃপর সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান তিনি।
গত ১৮ জুন শহরে ফিরে ফের ওই ফ্ল্যাটে যান নীলাঞ্জনা। অভিযোগ, ওই বহুতলের তিনতলায় থাকা প্রোমোটার এর কিছু ক্ষণ পরেই নীলাঞ্জনাকে ফোনে জানান, তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ‘চোর’। তড়িঘড়ি নাকতলায় পৌঁছে চোরের দেখা পাননি নীলাঞ্জনা। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেন, এক বয়স্ক লোক ও এক যুবক তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢুকছে। আধ ঘণ্টা পরে কাঠের দরজার তালা বন্ধ করে বেরিয়েও যাচ্ছে তারা। এর পরেই ফুটেজ সঙ্গে নিয়ে থানায় যান নীলাঞ্জনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy