সীমান্তে অপেক্ষায় মানুষ। সেখানেই অপেক্ষায় হাওড়ার ডাক্তারি পড়ুয়া। নিজস্ব চিত্র।
ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেন গিয়েছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা মিখাইল আলম। তার পর যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেখানেই আটকে তিনি। তাড়াতাড়ি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। কলেজ থেকে সীমান্ত পর্যন্ত বাসের বন্দোবস্তও করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা আর হয়নি। শনিবার সকালে তাই কয়েকজন বন্ধু মিলে বাস ভাড়া করে রওনা দিয়েছিলেন মিখাইল। রোমানিয়া সীমান্তের প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এসে বাস থেমেছিল। সেখান থেকে হাঁটা দেন ইউক্রেনের ইভানো কলেজের এই পড়ুয়া। কিন্তু রাতে আর সীমানা পার করতে পারলেন না। তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তাই খোলা আকাশের নীচে ঠায় অপেক্ষায় তিনি। প্রবল ঠান্ডায় মাথার উপর ছাদ নেই। সম্বল বলতে শুকনো কিছু খাবার আর লিটার পাঁচেক জল। কখন হাওড়ার বাড়িতে ফিরবেন, অপেক্ষায় যুবক।
মিখাইল জানান, শনিবার সকাল ৯টায় বন্ধুরা মিলে কলেজ হস্টেল থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন। রোমানিয়া সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে থামে বাস। সেখান থেকে হেঁটে পার হতে হবে সীমানা। জোরে পা চালিয়ে হাঁটছিলেন। একাধিক চেক পোস্টে ‘চেকিং’-এ অনেকটা সময় যাচ্ছিল। রাতের আগেই সীমান্ত পার করতে চাইছিলেন মিখাইল। কিন্তু হল না। সীমান্তে যখন পৌঁছলেন সূর্য অস্ত গিয়েছে। এখন কেবল মহিলা ও শিশুদের পারাপার করানো হবে। অগত্যা অপেক্ষা।
বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। মোবাইলের তখন চার্জ ফুরিয়ে এসেছে। কাছেপিঠের একটা ক্যাফেতে কোনও ভাবে মোবাইলটা চার্জে বসানোর ব্যবস্থা করেছেন। সকালের অপেক্ষায় মিখাইল। ছেলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় হাওড়ার শেখ নাসিরউদ্দিন। চাপা উৎকণ্ঠা নিয়ে রাত কাটছে পরিবারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy