বিপজ্জনক পথেই যাতায়াত। ছবি:স্বাতী চক্রবর্তী।
শিয়ালদহ উড়ালপুল ও সূর্যসেন স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের বেহাল দশা। এর জন্য বেশ কয়েক বার ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। এতে গাড়ি চলাচলেও অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই বেহাল অবস্থার জন্য ক্ষোভ বাড়ছে নিত্য যাত্রীদের।
অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন কলকাতা ট্রাম কোম্পানির (সিটিসি) বেশ কয়েক জন কর্তা। সিটিসি সূত্রের খবর, ওই দু’টি লাইন সারানো হবে। তার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে তাঁদের দাবি। তবে শুধু কথায় চিড়ে যে ভিজবে না তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন খোদ পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ট্রামের একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে সিটিসি ও হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি) কর্তাদের থেকে খোঁজ খবর নেন। পরে ওই সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন সচিব।
শিয়ালদহ উড়ালপুলের উত্তর দিকের ট্রাম লাইন ঠিক থাকলেও দক্ষিণ দিকের হাল যথেষ্টই করুণ। ট্রাম লাইনের পাশের পিচ উঠে গিয়েছে। বেরিয়ে পড়েছে নীচে থাকা পাথর, ইট। লাইনের দু’পাশে কয়েক ফুটের গর্ত হয়ে গিয়েছে। জমে রয়েছে জলও। এই ধরনের রাস্তায় মোটরবাইক ও অটো চালানো খুবই বিপজ্জনক বলে জানালেন নিত্যযাত্রীরা। গর্তে চাকা পড়লে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সিটিসি সূত্রের খবর, শিয়ালদহ রুট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোট ২৫টি রুটের অধিকাংশই শিয়ালদহ ও ধর্মতলা কেন্দ্রিক। প্রতি দিন ওই পথে বেশ কয়েকটি ট্রাম চলে। এক নিত্য যাত্রী বলেন, “রাস্তার এমন অবস্থা যে
বাসই হেলেদুলে যায়। হাঁটতে গেলে হোঁচট খেতে হয়।” সিটিসির এক কর্তা জানান, শিয়ালদহের দক্ষিণের প্রায় ১.১ কিলোমিটার অংশে ট্রাম লাইনের রাস্তা কংক্রিটের হবে। সেই কাজ করবে এইচআরবিসি। কংক্রিটের কাজ হওয়ার পরে খুঁটি, রাস্তার নীচে ও উপরে বিদ্যুতের কাজ করবে সিটিসি। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে জানান ওই কর্তা। শীঘ্রই দরপত্র ডাকা হতে পারে বলে দাবি তাঁর। সূর্যসেন স্ট্রিটের ক্ষেত্রে পুরো কাজই করবে সিটিসি। এ ছাড়াও রাজা রামমোহন রায় সরণি এবং বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের প্রায় এক কিলোমিটার ট্রাম লাইন কংক্রিটের কাজ করছে সিটিসি। এ ক্ষেত্রেও দরপত্র ডাকা হয়ে গিয়েছে। খরচ হতে পারে প্রায় ৯ কোটি টাকা। সিএসটিসি-র এক অধিকারিক বলেন, “কাজ শেষ হতে প্রায় এক বছর লাগতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy