Advertisement
২১ মে ২০২৪

জটে আটকে বাজার সংস্কার

পুনর্বাসনের সমস্যায়ই আটকে রইল লেকগার্ডেন্স সুপারমার্কেটের সংস্কার। কবে এই কাজ শুরু হবে সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। লেকগার্ডেন্স সুপার মার্কেটের পরিকাঠামোর বেহাল অবস্থা। নিকাশি বুজে যাওয়ায় নোংরা জল উপচে বাজারে ঢুকে যায়। সিমেন্টের কাঠামোর কিছু কিছু জায়গা ভেঙে পড়েছে। পলেস্তরা খসে পড়েছে। স্টলের উপরে প্লাস্টিক বা টিনের চাল লাগিয়ে কাজ সারছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।

বেহাল দশা সুপারমার্কেটের।  —নিজস্ব চিত্র।

বেহাল দশা সুপারমার্কেটের। —নিজস্ব চিত্র।

কৌশিক ঘোষ
শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৪ ০১:১৮
Share: Save:

পুনর্বাসনের সমস্যায়ই আটকে রইল লেকগার্ডেন্স সুপারমার্কেটের সংস্কার। কবে এই কাজ শুরু হবে সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।

লেকগার্ডেন্স সুপার মার্কেটের পরিকাঠামোর বেহাল অবস্থা। নিকাশি বুজে যাওয়ায় নোংরা জল উপচে বাজারে ঢুকে যায়। সিমেন্টের কাঠামোর কিছু কিছু জায়গা ভেঙে পড়েছে। পলেস্তরা খসে পড়েছে। স্টলের উপরে প্লাস্টিক বা টিনের চাল লাগিয়ে কাজ সারছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।

দক্ষিণ কলকাতায় কসবা, যাদবপুর, লেকগার্ডেন্স, চেতলা, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এবং দেশপ্রাণ শাসমল রোডের উপর দু’টি বাজার সব মিলিয়ে কলকাতা ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্টের (কেআইটি) মোট সাতটি বাজার রয়েছে। এ ছাড়া, ঢাকুরিয়ায় রয়েছে বড় শপিং কমপ্লেক্স ‘দক্ষিণাপণ’। বামফ্রন্টের আমলেই সংস্কারের জন্য সাতটি বাজারের সমীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে, কসবা এবং যাদবপুর ছাড়া অন্যান্য বাজারগুলির উপরে বসবাসের জন্য কোয়ার্টার্স রয়েছে। ফলে এই দু’টি বাজার ছাড়া বাকি যে কোনও বাজারের সংস্কার করতে গেলে পুনর্বাসনের জন্য জায়গা দরকার। সেই জায়গার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত বাজারগুলির সংস্কার আটকে আছে। চেতলা বাজারে ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাওয়ায় সংস্কার শুরু করেছে কেআইটি।

লেকগার্ডেন্স অঞ্চলের কেআইটি বাজারটি এলাকার অন্যতম বড় বাজার। স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও পাশের গল্ফগ্রিন এবং গল্ফগার্ডেনের বাসিন্দাদের একাংশ এই বাজারে কেনাকাটা করেন। কেআইটি কর্তৃপক্ষের দাবি, মাঝে মধ্যেই ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই বাজারের কিছু কিছু অংশের মেরামতি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, কেআইটি কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা সত্ত্বেও বাজার মেরামতির ব্যাপারে এখনও তাঁরা উদ্যোগী হননি। লেকগার্ডেন্সের বাসিন্দা অনিরুদ্ধ বসাক বলেন, “একটু বৃষ্টিতেই বাজারে জল জমে যায়। বাজারের যে অংশে মাছ ব্যবসায়ীরা বসেন সেখানে নিকাশির অবস্থা খুবই খারাপ।

কেআইটি-র এক আধিকারিক জানান, লেকগার্ডেন্স সুপার মার্কেটের উপরের অংশে আবাসন রয়েছে। এই বাজারের সম্পূর্ণ সংস্কার করতে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দিতে হবে। এই নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কেআইটি কর্তৃপক্ষ একটি সমীক্ষা করে দেখেছেন, এই বাজার সংলগ্ন কেআইটি-র একটি ফাঁকা জমি রয়েছে। সংস্কারের সময়ে সেখানে ব্যবসায়ীদের সরানো গেলেও বাজারের উপরে বসবাসকারী আবাসিকদের আপাতত স্থানান্তরিত করা সম্ভব নয়। এ ছাড়াও এই বাজারের সম্পূর্ণ সংস্কারের জন্য যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন তাও নেই। লেকগার্ডেন্স সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দুলাল ঘোষ বলেন, “এই বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। কেআইটি কর্তৃপক্ষকে এই বাজার সংস্কারের ব্যাপারে অনেক বার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।” রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেআইটি-র বাজারগুলির সংস্কারের পরিকল্পনা সরকারের অনেক দিন ধরেই রয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। শহরের কোন কোন বাজার সংস্কারের প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kaushik ghosh super market
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE