হাঁসফাঁস গরমে পানীয় জল না পাওয়ায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডের বাসিন্দাদের একাংশ। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা অবরোধ চলে। পুরসভা থেকে পানীয় জলের ট্যাঙ্কারও পাঠানো হয়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
অবরোধের জেরে এই এলাকায় যানজটও হয়। পুলিশ জানায়, যানজট এড়াতে তপসিয়াগামী সব গাড়ি পামারবাজার দিয়ে ঘোরানো হয়। অন্য দিকে, তপসিয়া থেকে পামারবাজারগামী গাড়ি পার্ক সার্কাস এবং বাইপাস দিয়ে ঘোরানো হয় বলেও জানায় পুলিশ।
কলকাতার মেয়র তথা জল সরবরাহ দফতরের মেয়র পারিষদ শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত জলের গাড়ি পাঠিয়ে সমস্যা মেটানো হচ্ছে। পরে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্যা সমাধানে দেরি হওয়ার কারণও জানতে চেয়েছি।”
এ দিন কী হয়েছিল? গোবিন্দ খটিক রোডের একটি বস্তি অঞ্চল প্রায় মাসখানেক ধরে জলশূন্য। পুরসভা থেকে পানীয় জলের গাড়ি এই এলাকায় জল সরবরাহ করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও পানীয় জলের পাইপ সারানো হয়নি। অন্য দিকে, পানীয় জলের গাড়িও অনিয়মিত। এ দিন পানীয় জলের গাড়ি আসতে দেরি করায় বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। পরে প্রায় শ’খানেক বাসিন্দা রাস্তা অবরোধ করেন।
এক বাসিন্দা শোভা দাস বলেন, “জলের সমস্যা এই এলাকায় বহু দিনের। বাড়িতে যেটুকু জল আসত, সেই জল না আসায় অবস্থা আরও সঙ্গীন। পুরসভার জলের গাড়িও মাঝেমধ্যে অনিয়মিত।”
পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের আধিকারিকেরা জানান, ৮ নম্বর গোবিন্দ খটিক রোডের এই বস্তিতে অনেকগুলি বাড়ি। কোনও কারণে জল সরবরাহের সার্ভিস লাইনে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় বিপত্তি হয়েছে। পূর্ব কলকাতার এই অঞ্চলে এমনিই জল সরবরাহ কম। সেই কারণেই ধাপা জলপ্রকল্প করা হচ্ছে। আপাতত, টালার জলাধার থেকে ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনের মাধ্যমে পামারবাজার বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে এখানে জল সরবরাহ করা হয় বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
কেবল নির্দিষ্ট একটি জায়গাতেই নয়, সমগ্র এলাকাতেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাও একটি মামলায় বিচারাধীন বন্দি থাকায় আপাতত এই ওয়ার্ডের পুর-পরিষেবা দেখভালের দায়িত্বে আছেন পুরসভার বস্তি দফতরের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার।
প্রশ্ন উঠেছে, এত দিন জলের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও পুরসভা কেন ব্যবস্থা নেয়নি? স্বপনবাবু বলেন, “পাইপলাইন বদলাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা বাস্তবায়িত করতে সময় লাগছে। যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন পাইপ বসানো না হচ্ছে, ততক্ষণ ট্যাঙ্কারে নিয়মিত জল সরবরাহ করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy