উপচে পড়া আবর্জনার পাশ দিয়ে এ ভাবেই যাত্রা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
সাত দিনে বিটি রোডে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কারণ, রাস্তার ধারে বেআইনি পার্কিং এবং স্তূপীকৃত আবর্জনা। একই সঙ্গে এই রাস্তার বিস্তীর্ণ অংশে জুড়ে আলো জ্বলে না।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিটি রোডের দু’ধারে নিয়ম ভেঙে গাড়ি দাঁড় করানোর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের মদতে রাস্তা দখল করে ট্রাক, মিনিডর, অটো কিংবা বাসস্ট্যান্ড তৈরি হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতি দিন। সঙ্গে রয়েছে বিটি রোডের ধারে যত্রতত্র পড়ে থাকা আবর্জনা। বৃহস্পতিবারেই সোদপুর ধানকল মোড়ের কাছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কনস্টেবল পরেশকুমার মল্লিকের মৃত্যু হয় মোটরবাইক দুর্ঘটনায়। বুধবার আগরপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে রাস্তায় স্তূপ করা আবর্জনায় মোটরবাইকের চাকা পিছলে জখম হন সুস্মিতা সরকার নামে এক স্কুটিআরোহী। সপ্তাহের গোড়ায় খড়দহ থানার কাছে রাস্তার ধারে দাঁড় করানো লরির পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে পিছন থেকে আসা গাড়ির ধাক্কায় জখম হন এক প্রৌঢ়।
কমিশনারেট হওয়ার পর ব্যারাকপুরে ট্রাফিকের হাল ফেরার দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু বিশেষ কিছু হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। রাস্তার মোড়ে সিগন্যাল, সিভিক পুলিশ থাকলেও দুর্ঘটনা কমেনি। বিটি রোড সম্প্রসারণের জন্য মাস কয়েক আগেই রাস্তার দু’ধারে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল প্রশাসন। কিছু জায়গা দখল মুক্ত করে সম্প্রসারণ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নিকাশির সংস্কার চলছে। ফলে কোথাও কোথাও বিটি রোডের উপর পড়ে থাকছে নর্দমার পাঁক-সহ আবর্জনা। সারা বছর ধরে সোদপুর রাজা রোডের সামনে বা কামারহাটিতে রামকৃষ্ণ মিশনের উল্টোদিকে আবর্জনার স্তূপ থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে। ক্রমশ বাড়ছে বেলঘরিয়া, আগরপাড়া বা সোদপুর এলাকায় বিটি রোডের উপরের বেআইনি পার্কিং। নিত্যযাত্রীরা নাকাল এই রাস্তা দখল নিয়ে।
রাস্তার এক অংশ দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা বাস-লরির জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানাচ্ছেন চালকেরা। বৃহস্পতিবারের ঘটনাতেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল পরেশবাবু রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পিছন থেকে লরি তাঁকে ধাক্কা দেয়। দ্রুতগতিতে লরি আসছে দেখেও বাঁ দিকে সরতে না পারায় এই দুর্ঘটনা। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘রাস্তা সম্প্রসারণ চলছে। মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখলমুক্ত করা হয়েছিল।’’ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ট্রাফিক দেবাশিস বেজ বলেন, ‘‘রাস্তায় বেআইনি পার্কিং এর বিষয়টি আমরা দেখছি। নজরদারি রাখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy