অন্ধকারেই ওঠানামা। ছবি: অরুণ লোধ
অন্ধকার। ঠিকমতো ট্রেন দেখা যাচ্ছে না। কিছু জায়গায় সামনের মানুষটিকেও স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় না। তার উপরে উঁচু-নিচু পথ। সেখান দিয়েই হন্তদন্ত হয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছেন যাত্রীরা। ছবিটি দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরের কাছেই বজবজ-শিয়ালদহ শাখার টালিগঞ্জ রেল স্টেশনের। যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মেই অধিকাংশ জায়গায় পর্যাপ্ত আলো নেই।
নিত্যযাত্রীরা জানান, স্টেশনের সামনে ও শেষের দিকে মহিলাদের জন্য দু’টি সংরক্ষিত স্থানে আলো রয়েছে। তা ছাড়া বেশির ভাগ অংশ ঘুটঘুটে অন্ধকার। প্ল্যাটফর্মের কয়েকটি দোকানের আলোই সেখানে ভরসা।
এক মহিলা যাত্রী জানান, স্টেশনে শেষ ট্রেন আসে সাড়ে দশটা নাগাদ। তখন স্টেশনের দোকানও বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন মহিলারা। কারণ, তখন প্রায় পুরো স্টেশনই আঁধারে ঢাকা।
নিত্যযাত্রীরা জানান, ১২ কামরার ট্রেন এলে সমস্যা আরও বেশি হয়। ন’কামরার ট্রেনে পিছনের দিকের যে অংশে মহিলা কামরা পড়ে সেখানে আলো রয়েছে। কিন্তু বারো কামরার ট্রেন এলে স্টেশনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত কামরা চলে যায়। সেখানে কোনও আলো নেই। তার পরেই প্ল্যাটফর্মের একেবারে শেষের অংশ। এখানে আলো না থাকাটা বেশ বিপজ্জনক বলেই দাবি নিত্যযাত্রীদের।
এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মও ভাঙাচোরা। অন্ধকারে হোঁচট খেয়ে অনেকে পড়েও গিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও রেল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ।
রেল সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, স্টেশনে সংস্কারের কাজ চলার কারণেই আলোর সমস্যা রয়েছে। রেলের এক আধিকারিক জানান, পূর্ব রেলের বিভিন্ন স্টেশনেই ছাউনি দেওয়ার কাজ চলছে। টালিগঞ্জেও সেই কাজ চলছে। ইতিমধ্যে যে অংশে ছাউনি রয়েছে সেখানে আলো রয়েছে বলে দাবি রেলের। রেলের এক কর্তা জানান, শীঘ্রই ওই কাজ শেষ করা হবে, তখন গোটা প্ল্যাটফর্মেই আলো থাকবে।
যদিও নিত্যযাত্রীরা এই যুক্তি মানতে চাননি। এক নিত্য যাত্রী বলেন, “যত দিন সংস্কার চলবে, তত দিন সাধারণ মানুষকে এ ভাবে অন্ধকারে থাকতে হবে?”
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে যথাযথ পদক্ষেপ করার জন্য বলা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy