ভোটে হেরে হারিয়েছেন মন্ত্রিত্ব, নেই পুরপ্রধানের পদও। এমনকি, কোণঠাসা দলের অন্দরেও। তবু আজও প্রাসঙ্গিক মালদহের দাপুটে নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ইংরেজবাজার শহরের আটটি ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনকে জিতিয়ে নিয়ে আসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কৃষ্ণেন্দু আসরে নামায় শহরে ভোটের ফলাফলে অন্য ছবি দেখা যাবে, দাবি তৃণমূল শিবিরের একাংশের।
২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ইংরেজবাজার বিধানসভা থেকে জয়ী হন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ, তারপর যোগ দেন তৃণমূলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হয় কৃষ্ণেন্দুর। কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের টিকিটে উপনির্বাচনের মাধ্যমে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হন তিনি। ছিলেন ইংরেজবাজারের পুরপ্রধানও। তবে ২০১৬ সালের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী নীহাররঞ্জন ঘোষের কাছে হেরে যান তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দেন নীহাররঞ্জনও, পুরপ্রধানে হন তিনি। দলের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়েন কৃষ্ণেন্দু।
তবে সূত্রের মতে, এখনও জেলার রাজনীতিতে প্রভাবও রয়েছে কৃষ্ণেন্দুর। দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রচার কমিটির দায়িত্ব ছাড়াও এ বারের ভোটে কৃষ্ণেন্দুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইংরেজবাজার শহরের আটটি ওয়ার্ডের, ৪, ৫, ৭, ৮, ৯, ১০, ১২ এবং ২৯ নম্বর। গত লোকসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার শহরে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এ বারও শহরে ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই বিজেপিকে ঠেকাতে শহরের নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অধিকাংশ নেতাকে একটি বা দু’টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দিলেও কৃষ্ণেন্দুর দায়িত্বে আছে আটটি ওয়ার্ড। বুধবার রাতেও ইংরেজবাজারের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পিরোজপুরে কর্মিবৈঠক করেন তিনি, ৪ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডকে নিয়ে বৈঠক করেন ২ নম্বর গভর্মেন্ট কলোনিতে, মোয়াজ্জেম হোসেন এ দিন কর্মিসভা করেন কালিয়াচকে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দায়িত্ব পেয়েই চেনা মেজাজে কৃষ্ণেন্দু। কালীতলার ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে যোগাযোগ রাখছেন কর্মীদের সঙ্গে। কৃষ্ণেন্দু বলেন, ‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা আমি পালন করব।’’ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে মালদহের মাটিতে ঘাসফুল ফুটেছে। কৃষ্ণেন্দুবাবুর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে শহরেও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy