মাঠ পরিদর্শন
শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য নিজেদের জমি ব্যবহারের অনুমতি দিল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ (এসজেডিএ)। কাওয়াখালিতে সিআরপিএফ সদর দফতরের পাশের মাঠ সভার জন্য চেয়েছিল বিজেপি। তার বদলে, উল্টো দিকে বিশ্ববাংলা শিল্পী হাটের পাশে প্রায় ৪৫ বিঘের জমি সভার জন্য দেওয়া হয়েছে শনিবার।
এসজেডিএ প্রথমে নির্মাণ কাজ চলছে বলে মাঠটি দিতে আপত্তি করেছিল। তবে শনিবার দুপুরে বিজেপি নেতাদের ডেকে এসজেডিএ মাঠ দিতে রাজি হয়। এ দিন সংস্থার চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমি শুনেছি জমি দেওয়া হয়েছে। তবে ভোটের সময় এ সব সিদ্ধান্ত আধিকারিকরা নেন। তাই বিস্তারিত বলতে পারব না।’’
এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে জলঘোলা করা এবং হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দলের উত্তরবঙ্গ জোনের আহ্বায়ক রথীন্দ্র বসু বলেন, ‘‘মাঠ না দিতে চাওয়ার পর আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তা জানতে পেরেই হয়ত আমাদের ফোন করে ডেকে বিশ্ববাংলার পাশের জমিটির প্রস্তাব দেওয়া হল।’’ এসজেডিএ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সুবিধা অ্যাপের মাধ্যমে কাওয়াখালিতে সিআরপিএফের সদর দফতরের পাশের জমিটি চাওয়া হয়েছিল। সেদিন পত্রপাঠ জানিয়ে দেওয়া হয়, সেই জমি দেওয়া যাবে না। কারণ সেই জমির কিছুটা অংশ একটি শিল্পগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল, বাকি অংশে কাজ হচ্ছে। তবে লিখিত ভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুক্রবার বাস্তুবিহারে একটি বেসরকারি জমি ছাড়াও রেলের জমি দেখেন নেতারা। পরে রেলের জমি চেয়ে আবেদন করে বিজেপি। রেল সম্মতি দিলে সাউথ কলোনির মাঠই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল সভার জন্য।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শনিবার দুপুরে বিজেপি নেতাদের ফের ডেকে পাঠায় এসজেডিএ। তাঁদের বলা হয়, সিআরপিএফ সদর দফতরের পাশের জমিটি দেওয়া যাবে না। তবে বিশ্ববাংলা শিল্পী হাটের পাশের জমি ব্যবহার করতে পারে বিজেপি। তাতে সম্মতি দিলে দলের নেতাদের নিয়ে জমিটি দেখতে যান এসজেডিএর আধিকারিকরা। এ দিনই তাঁদের বিশ্ববাংলার পাশের জমি ব্যবহারের আবেদন করতে বলা হয়। আবেদনে শর্তসাপেক্ষ অনুমোদন দেয় এসজেডিএ। ৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত মাঠ ব্যবহার করা যাবে। সভার পরেই মাঠ খালি করে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy