মাঝেরহাটের ভেঙে পড়া সেতুর উপরিভাগে দেওয়া উপর্যুপরি পিচের আস্তরণ অযথা পরিকাঠামোর ভার বাড়িয়েছিল। —ফাইল চিত্র।
সেতুর উপরিভাগ থেকে পিচের বাড়তি বোঝা কমানোর নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। ১০ দিনের মধ্যে গোটা রাজ্যে পূর্ত দফতরের অধীনে যে সব সেতুর উপরে পিচের বাড়তি বোঝা রয়েছে, তা কমাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সব এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে।
মাঝেরহাটের ভেঙে পড়া সেতুর উপরিভাগে দেওয়া উপর্যুপরি পিচের আস্তরণ অযথা পরিকাঠামোর ভার বাড়িয়েছিল। সেতু বিপর্যয়ের পরে বিশেষজ্ঞ কমিটির অনুসন্ধানেও এই তথ্য উঠে এসেছিল। ঘটনাচক্রে, গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে ওই সেতু সংস্কারের যে পরিকল্পনা করা হয়, তাতে পিচের আস্তরণ অন্তত এক ফুট চেঁছে তুলে ফেলার প্রস্তাব দেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। যদিও সেই কাজ শুরুর আগেই সম্প্রতি ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতুর একাংশ। এ বার রাজ্যের বাকি সেতুগুলি থেকে ‘ডেড লোড’ (পিচের একের পর এক আস্তরণ জমে তৈরি হওয়া সেতুর উপরিভাগে বাড়তি ভার) সরিয়ে দেওয়ার কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে চাইছেন দফতরের শীর্ষকর্তারা। একই সঙ্গে, সমূলে তুলে ফেলতে হবে পরিকাঠামোর গায়ে জন্মানো গাছও।
দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রকৃত নকশা মানলে সেতুতে এমন অবাঞ্ছিত ভার থাকার কথা নয়। প্রতিবার মেরামতের সময় পুরনো আস্তরণ তুলে ফেলে নতুন করে পিচ ঢালাই করা নিয়ম। অতীতে এটা অনেক ক্ষেত্রে অবহেলিত হয়েছে। মাঝেরহাট সেতুর বিপর্যয়ের পরে সেটিকে নজরের বাইরে রাখা যুক্তিযুক্ত নয়।’’ দফতরের অপর একটি অংশের যুক্তি, পিচের আস্তরণ জমতে জমতে একেকটি সেতুর উপরিভাগ এত পুরু হয়েছে, যা স্বল্প সময়ের মধ্যে চেঁছে ফেলা সহজ নয়। কারণ, প্রকৃত নকশার মাপকাঠি মেনে আস্তরণের কতটা কাটতে হবে, তা চটজলদি বোঝা কঠিন। তবে ইঞ্জিনিয়ারদের প্রত্যক্ষ নজরদারি থাকায় সমস্যা হবে না বলেই ধারনা আধিকারিকদের অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy