সূচনা: দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার। ছবি: সুমন বল্লভ
স্কাইওয়াকের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে দক্ষিণেশ্বর ঘিরে পরবর্তী ভাবনার কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রানি রাসমণির নামে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের নামকরণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রানি রাসমণির নামে আরও কিছু করতে চাই। দক্ষিণেশ্বরের ইতিহাস জানার জন্য লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের দরপত্র ডাকা হয়ে গিয়েছে।’’ আজ, মঙ্গলবার থেকে সাধারণ মানুষ ৩৪০ মিটার লম্বা স্কাইওয়াক ব্যবহার করতে পারবেন।
স্কাইওয়াকের পরে দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বর জুড়ে আলো-ধ্বনির মায়াজাল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের। প্রাথমিক ভাবনা অনুযায়ী, সন্ধ্যা নামার পরই মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীদের সামনে হাজির হবে রানি রাসমণি, শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দের অবয়ব। নাটমন্দিরকে মূল পর্দা হিসেবে ব্যবহার করে ভবতারিণী মন্দির, অফিস ব্লক, রাধাকৃষ্ণ মন্দিরকে ঘিরে লেজারের মাধ্যমে পরিস্ফুট হবে ১৮৫৫ সালে মন্দির তৈরির ইতিহাস। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে সেই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ গতি পেল বলে মনে করা হচ্ছে। আগামিদিনের পরিকল্পনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্কাইওয়াক তৈরির বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিচারপতিদের সম্মান জানাই। তাঁরা বলেছিলেন স্কাইওয়াক হবেই।’’ স্কাইওয়াক নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘তিনটি রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে কনভেনশন করল। হকারদের ভুল বোঝাল। বলল, করা যাবে না। হকারদের জন্য যে স্টল তৈরি হয়েছে তা কি আমার বা কারও পরিবারের জন্য।’’ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘দক্ষিণেশ্বর মন্দির ঢোকার রাস্তায় যানজট কমাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। এর পর মুখ্যমন্ত্রী স্কাইওয়াক তৈরির নির্দেশ দেন। যা দেশের মধ্যে প্রথম।’’
স্কাইওয়াকের উপর তৈরি হওয়া ১৩৭টি স্টল ৭ দিনের মধ্যে হকারদের বণ্টনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, যে স্টল সবথেকে বেশি পরিষ্কার থাকবে সেটিকে বছরে পুরস্কৃত করার কথা বলেন তিনি। স্কাইওয়াকের সাফাই প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভাকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ১০০ দিনের কাজের ৫০ জন কর্মী প্রতিদিন সেটি সাফ করবেন। স্কাইওয়াকের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে। কালীঘাট-সহ অন্য জায়গাতেও এ ধরনের প্রকল্পের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy