ছবি: সংগৃহীত
ছ’মাস আগে ভাঙড়-কাণ্ডের জন্য বেদিক ভিলেজ এবং উন্নয়ন গ্রুপ-সহ চারটি প্রোমোটার সংস্থাকেই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার ভোজেরহাটের সভায় ভাঙড়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বেদিক ভিলেজ ও উন্নয়ন গ্রুপ-সহ চারটি প্রোমেটার সংস্থা বহিরাগতদের এনে এখানে আন্দোলন শুরু করেছে। কম দামে গরিব চাষিদের চাষজমি কিনে নিয়েছে। চাষজমির চরিত্র বদল করে দিয়েছে। ওরা বড় বড় আবাসন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। তিনি বলেন, ‘‘বিদ্যুতের খুঁটি পুঁতলে ওদের আবাসন বাধা পাবে। ওদের সব চক্রান্ত আমি জানি। ওরা চায় আপনারা যাতে বিদ্যুৎ না পান। ওরাই আন্দোলনকারীদের টাকা জোগাচ্ছে।’’
তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর অনুগামীরাই চাষজমি কার্যত দখল করে প্রোমোটার সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছিল, ভাঙড়-কাণ্ডের পর পরই এই অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তার পরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাষজমির চরিত্র পরিবর্তন
(কনভার্সান) করা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন আর কেউ চাষজমি দখল করে আবাসন তৈরি করতে পারবে না। ওই এলাকার চাষজমি কোনও ভাবেই ওদের হাতে তুলে দিতে পারব না।’’
ভাঙড়ে গোলমালের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দুষলেও ওই এলাকার প্রোমোটাররা অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, আবাসন প্রকল্পের জন্য বিদ্যুৎ প্রকল্প জরুরি। একটি নির্মাণ সংস্থার কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তি বুঝতে পারছি না। বিদ্যুতের জোগান না থাকলে আবাসন প্রকল্পও সাফল্যের মুখ দেখবে না। প্রকল্প শুরু করতেও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সব মিলিয়ে এই বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে আবাসন প্রকল্পের লাভই হবে।’’
আরও পড়ুন:মন গলেনি, মিছিল মাছিভাঙায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy