প্রতীকী ছবি।
পুরী বেড়াতে গিয়ে হোটেলের চারতলার ঘরের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বাঁকড়ার এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। পাঁচ জন বন্ধু মিলে বুধবার তাঁরা পুরীতে পৌঁছন। বৃহস্পতিবার চয়ন সরকার নামে ওই যুবক ভুবনেশ্বরের এমস হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। ওড়িশা পুলিশের দাবি, মৃত যুবকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
ওড়িশা পুলিশের বার্তা পেয়ে অরিজিৎ নন্দী নামে এক যুবককে শনিবার গ্রেফতারও করেছে উল্টোডাঙা থানার পুলিশ। অরিজিতের বাড়ি আরিফ রোডে। শনিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠায় বিচারক। তবে পুরীর সি বিচ থানার পুলিশ এখনও পর্যন্ত কলকাতায় না পৌঁছনোয় ‘ট্রানজ়িট রিমান্ডের’ নির্দেশ হয়নি। পুরীর সি বিচ থানার পুলিশ এ বিষয়ে জানায়, তারা মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। দরকার মতো কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ রাখছে।
কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে চয়নের? হোটেলের বারান্দা থেকে কি তিনি পড়ে গিয়েছিলেন? না কেউ তাঁকে ঠেলে ফেলে দেয়? কোনও নির্দিষ্ট কারণে কি কোনও বন্ধুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন চয়ন? ওড়িশা পুলিশের কাছ থেকেও এখনও তার স্পষ্ট জবাব মেলেনি। তবে হোটেলের বারান্দা থেকে চয়ন পড়ে যাওয়ার আগে-পরে বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলছে ওড়িশা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার চয়ন, আরিজিতরা পাঁচ জন একসঙ্গে পুরীতে যান। সেখানে একটি হোটেলের চারতলায় রুম ভাড়া নেন তাঁরা। কলকাতা পুলিশ জানায়, ওড়িশা পুলিশের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, ওই দিন চারতলা থেকে পড়ে যান চয়ন। হোটেল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে আনলে পুরী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গুরুতর জখম চয়নকে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে ভুবনেশ্বর এমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy