প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কিষেণজির মৃত্যু এবং তারপরে একাধিক মাওবাদী নেতার আত্মসমর্পণ ও গ্রেফতারের পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল এ রাজ্যের মাওবাদী কার্যকলাপ। গোয়েন্দাদের দাবি, তারপরে বিক্ষিপ্ত ভাবে মাওবাদীদের কার্যকলাপ সামনে এলেও তা কোনও ভাবেই দানা বাধেনি। এখন গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বিভিন্ন এলাকায় বঞ্চনাকে সামনে রেখে এ রাজ্যে নতুন করে সংগঠন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে মাওবাদীরা। মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোরদাকে গ্রেফতারের পরে জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁকে সামনে রেখে সশস্ত্র স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল মাওবাদীদের একাংশ।
এক গোয়েন্দা কর্তা জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি, তার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের সারান্ডার কয়েক জন যুবককে নিয়ে ওই সশস্ত্র স্কোয়াড তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়েছিল। পুলিশের হাতে কিশোরদার গ্রেফতারের পরে ধাক্কা খেয়েছে সেই উদ্যোগ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কিশোরদাকে জেরায় স্থানীয় সাত-আট জনের নাম মিলেছে। কিশোরদার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি চিঠি থেকেও কয়েক জনের নাম মিলেছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, কিশোরদা ছাত্র অবস্থাতেই নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। কয়েক বছর আগে তাঁকে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়। পরে মাওবাদীদের ‘ইস্টার্ন রিজিওনাল ব্যুরো’র দায়িত্ব পান তিনি। তারপরেই নতুন করে সংগঠনের সঙ্গে সশস্ত্র স্কোয়াড তৈরিতেও হাত লাগান কিশোরদা। গোয়েন্দাদের দাবি অনুযায়ী, এ বারেও সরকারের বঞ্চনাকে হাতিয়ার করা হয়েছিল। সেই বঞ্চনাকে সামনে রেখেই নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করা হচ্ছিল।
এক পুলিশকর্তার কথায়, সন্দেশখালির মতোই জোর করে নদিয়া-মুর্শিদাবাদেও জমি দখল করা হয়েছে বলে ওই নেতা অভিযোগ করেছেন। সেখানকার সাধারণ মানুষের ক্ষোভকে উস্কে দেওয়ার কাজ করছিল কিশোরদার সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy