ফাইল ছবি।
সাম্প্রতিক অতীতে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে আড়াআড়ি স্পষ্ট দু’ভাগ দেখা গিয়েছিল। এক দিকে বিজেপি-র শান্তনু ঠাকুর, অন্য দিকে তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুর। আসন্ন বারুণী মেলাকে কেন্দ্র করে কি সেই বিভেদ মিটল? প্রশ্ন উঠছে কারণ, মেলা আয়োজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একযোগে কাজ করছে দুই শিবিরই। পাশাপাশি, এই প্রথম আন্দামান থেকে মতুয়া ভক্তদের ঠাকুরবাড়িতে আনার জন্য ব্যবস্থা করা হল বিশেষ জাহাজের। ঘটনাচক্রে কেন্দ্রের জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনুই।
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা মেতে উঠবে বারুণী মেলায়। দেশের বিভিন্ন এলাকা, এমনকি, বাংলাদেশ থেকেও ঠাকুরনগরে আসবেন বহু ভক্ত। এ বার সেই ঠাকুরবাড়িতেও অন্য রকম হাওয়া। এত দিন মেলা হয়েছে ঠিকই কিন্তু আয়োজকরা ছিলেন স্পষ্ট দু’ভাগে বিভক্ত। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে পদ্ম শিবির, অন্য দিকে মমতাবালা ঠাকুরের নেতৃত্বে তৃণমূল শিবির। শান্তনু, মমতাবালা— দুই শিবিরেই রয়েছে বিপুল মতুয়া ভক্ত। অনেক দিন ধরেই আড়াআড়ি এই দু’ভাগে বিভক্ত ঠাকুরবাড়ি। কিন্তু আসন্ন বারুণী মেলা উপলক্ষে কি শেষপর্যন্ত মিটল বিভেদ? মেলা আয়োজনে এ বার দু’পক্ষই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে।
বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তুনুর ভাই সুব্রত ঠাকুর বলেন, ‘‘একটা জট ছিল। এখন সে সবের ঊর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে মেলা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী দিনেও একসঙ্গে চলব। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। ঠাকুরবাড়িতে সবাই এক। ভক্তদের কাছে এই বার্তাটাই দিতে চাই।’’
তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা নেত্রী মমতাবালা বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে করোনার কারণে মেলা হয়নি। এ বার মেলা হচ্ছে। নতুন চিন্তাধারায় নতুন বার্তা ভক্তদের কাছে পৌঁছে দিতেই একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত। ঠাকুরের ভক্তদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। ভক্তরা সবাই এক।’’
অন্য দিকে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে মেলায় আসার জন্য বিশেষ জাহাজের পাশাপাশি ভক্তদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ব্যবস্থা হচ্ছে অতিরিক্ত ট্রেনেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy