বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে কাউন্সিলরদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে জবাব দেন ফিরহাদ। দাবি করেন, কোনও বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে কাউন্সিলররা যুক্ত নন। বরং এ ক্ষেত্রে পুলিশ ও বিল্ডিং বিভাগের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মেয়র।
শহরে অবৈধ নির্মাণে কাউন্সিলরদের ভুমিকা নেই! দাবি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। ফাইল চিত্র
কাউন্সিলররা নয়, কলকাতায় বেআইনি নির্মাণের জন্য পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ ও পুলিশকেই দায়ী করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পান তিনি। মেয়রের কাছে অভিযোগকারী শেখ আব্দুল করিম দাবি করেন, একাধিক বার পুর প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও সুবিচার পাননি তিনি। পরে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে কাউন্সিলরদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে জবাব দেন ফিরহাদ। দাবি করেন, কোনও বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে কাউন্সিলররা যুক্ত নন। বরং এ ক্ষেত্রে পুলিশ ও বিল্ডিং বিভাগের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মেয়র।
তিনি বলেন, "অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কাউন্সিলরকে অভিযুক্ত করা মানে তাঁকে বদনাম করা। কারণ, কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ তা কাউন্সিলরের জানা থাকে না। আমিও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আমিই জানি না, এলাকায় কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ নির্মাণ। বাড়ি নির্মাণ হলে মানুষ থাকা শুরু করলে আমি সেখানে ভোট চাইতে পারি।’’ কলকাতা বন্দরের বিধায়কের আরও বক্তব্য, ‘‘কোথায় অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে, জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনের বিষয়। প্ল্যান স্যাংশন করা থেকে শুরু করে যদি অবৈধ নির্মাণ হয় তবে তা প্রশাসনের বিষয়। অর্থাৎ বিল্ডিং বিভাগ দেখে এই বিষয়গুলি। যদি কোনও ক্ষেত্রে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে, তা হলে ধরে নিতে হবে তা বিল্ডিং বিভাগের গাফিলতিতে হয়েছে কিংবা তাদের প্রশ্রয়ে হয়েছে।। যদি এই ধরনের অভিযোগ থানায় জানানো হয়ে থাকে এবং থানা কোনও অ্যাকশন না নেয় তা হলেও অভিযোগ উঠবে থানার বিরুদ্ধেই। অযথা কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা ঠিক নয়।’’
পুলিশ ও বিল্ডিং বিভাগের ভুমিকা নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের অ্যাকশন নিতে হবে। যে সব আধিকারিক এই কাজে গাফিলতি করেন, তাঁদের আমরা শোকজ করি। ডিজি নিজেও এ ব্যাপারে সতর্ক। কোথাও ১০০ শতাংশ নির্ভুল কাজ সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে শরিকি সমস্যা থাকে। অনুন্নত জায়গার ক্ষেত্রেও সমস্যা থাকে। তবে এখন আর বেআইনি নির্মাণ হয় না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাট্টা দিয়ে দিচ্ছেন। সব কিছু লিগ্যাল করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি ঠিকা টেন্যান্সি অ্যাক্ট করেছেন। সেটাও আমরা কলকাতা কর্পোরেশনের অধীনে থাকবে। তবে নিয়ম মেনে বাড়ি করতে হবে।’’ সাফাইয়ের সুরে মেয়র আরও বলেন, ‘‘যেমন আমার কাছে কোনও অভিযোগ এলে তা আমি এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে পাঠিয়ে দিই। আমার ক্ষেত্রে আমি বোরো-৯-র এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ পাঠিয়ে দিই। সুতরাং কাউন্সিলরকে দায়ী করলে ঠিক হবে না। কারণ, আমরা প্রশাসনের অঙ্গ নই। যেমন বিধায়ক হিসেবে কত সেলস ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, আমরা জানি না। বা সাংসদরা জানেন না, কত আয়কর নেওয়া হচ্ছে। তেমনই কাউন্সিলররাও জানেন না অবৈধ বা বৈধ নির্মাণ প্রসঙ্গে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy