ছিঁড়ে গিয়েছে লোহার জাল। রূপনারায়ণের পাড়ের হাল এমনই। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
তমলুকের শহরের সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদীর ভাঙন রোধ করতে দু’বছর আগে প্রায় ৩১ কোটি টাকা খরচ করে বাঁধ মেরামতির কাজ করেছিল সেচ দফতর। এ বার ওই নদীবাঁধের ধসে যাওয়া অংশ মেরামতি এবং বাঁধ আরও সুরক্ষিত করার জন্য আরও ১১ কোটি খরচ করা হবে। সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার কল্পরূপ পাল বলেন, ‘‘তমলুক শহরের আবাসবাড়ি চর থেকে উত্তরচড়া, দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া হয়ে চককামিনা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় নদীবাঁধ বোল্ডার বাঁধাই করা হয়েছিল। ওই বাঁধের কিছু জায়গা বসে গিয়ে হয়েছে । বাঁধের ওই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতি করা ও বাঁধকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহরের কাছে বছর তিনেক আগে থেকে রূপনারায়ণ নদীর ভাঙনের জেরে পুরসভা এলাকার মধ্যে থাকা আবাসবাড়িচর, উত্তরচড়া ও দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া, চককামিনা এলাকার বেশকিছু এলাকা নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ফলে বেশ কিছু পরিমাণ চাষের জমি ও বেশ কয়েকটি বসতবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ওই ভাঙন ঠেকাতে প্রথমে জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা নিয়েছিল সেচ দফতর। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে নদী ভাঙনের কবলে চলে যায়। এরপর ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে বাঁধ তৈরির দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দা-সহ জনপ্রতিনিধিরা। সেই সময় রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সেচ দফতরের পদস্থ আধিকারকিরা নদী ভাঙন দেখে যান।
এরপরেই সেচ দফতরের তরফে ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে তমলুক শহরের কাছে নদী ভাঙন রুখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে স্থায়ীভাবে বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রায় ৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কাজ করা হয় । বছর দেড়েক আগে ওই বাঁধ তৈরির ফলে বর্তমানে নদী ভাঙন প্রায় বন্ধ করা গিয়েছে। কিন্তু ভরা জোয়ারে বাঁধের কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই নদীবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতি ও বাঁধ পোক্ত করার জন্য ফের কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সেচ দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy