ফের প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) গোষ্ঠী কোন্দল। এ বার বিতর্কের কেন্দ্রে টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি বদল। দলের এক সূত্রে খবর, টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি দেবলীনা নন্দীকে সরিয়ে নতুন জেলা সভাপতি করা হয়েছে সৌরভ চক্রবর্তীকে। অথচ, এই রদবদলের কথা জানেনই না দেবলীনা। তাঁর দাবি, টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই।
টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি পদে যে রদবদল হয়েছে তা মানছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। বুধবার অজিতবাবু বলেন, “আগে দেবলীনা ছিল। এখন সৌরভ নতুন সভাপতি হয়েছে। অবশ্য এটা ছাত্র সংগঠনের ব্যাপার। তবে সৌরভকে বলেছি, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। কোনও মতবিরোধ চলবে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা অবশ্য বূলছেন, “ছাত্র সংগঠনে এখনও ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না।”
দলের এক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কলকাতায় গিয়েছিলেন সৌরভ। তাঁর সঙ্গে টিএমসিপি-র রাজ্য নেতৃত্বের কথাও হয়। তাঁকে যে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে দেন রাজ্য নেতৃত্ব। কলকাতা থেকে ফিরে ওই দিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে আসেন সৌরভ। দেখা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরির সঙ্গে। বুধবার সৌরভ বলেন, “সংগঠন যে দায়িত্ব দিয়েছে তা ভাল ভাবে পালন করার সব রকম চেষ্টা করব। সকলকে নিয়েই কাজ করব।” দেবলীনা অবশ্য বলেন, “টিএমসিপি-র এই রদবদলের কথা আমার জানা নেই। আমাকে কেউ কিছু জানাননি।” তাঁর কথায়, “জেলা সভাপতি পদে রদবদল হলে নিশ্চয় জানতে পারতাম।”
জেলায় টিএমসিপি-র গোষ্ঠী কোন্দল নতুন নয়। টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি জয়া দত্তের কর্মসূচিতে দেবলীনা অনুপস্থিত থেকেছেন, এমন নজিরও রয়েছে। দলের এক নেতার কথায়, “এ ভাবে চলতে পারে না। সমস্যা থেকে থাকলে তার সমাধান জরুরি।” যা শুনে টিএমসিপি-র এক নেতা বলেন, “দলের উপরতলা থেকেই বিভাজনের শুরু। উপরতলায় বিভাজন চলতে থাকলে নিচুতলায় বিভাজন এড়ানো অসম্ভব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy