Advertisement
১৭ মে ২০২৪

ফের মাঠ জবরদখল, অভিযোগ মেদিনীপুরে

নতুন করে মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগরের মাঠ জবরদখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। মাঠ দখলমুক্ত করতে এলাকায় একটি কমিটি গড়া হয়েছিল। সেই কমিটির আহ্বায়ক কার্তিক ধর মঙ্গলবার মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্তের কাছে জবরদখলের অভিযোগ জানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ০১:০৯
Share: Save:

নতুন করে মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগরের মাঠ জবরদখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। মাঠ দখলমুক্ত করতে এলাকায় একটি কমিটি গড়া হয়েছিল। সেই কমিটির আহ্বায়ক কার্তিক ধর মঙ্গলবার মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্তের কাছে জবরদখলের অভিযোগ জানিয়েছেন।

কার্তিকবাবু বলেন, ‘‘মাঠের একাংশ আগেই দখল হয়ে গিয়েছে। নতুন করে ফের জবরদখল শুরু হয়েছে। এ ভাবে সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। অথচ, পুলিশ- প্রশাসন পুরোপুরি উদাসীন।’’ মহকুমাশাসক অমিতাভবাবুর অবশ্য আশ্বাস, ‘‘ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, আগেও বহুবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। জায়গা দখলমুক্ত করতে ভূমি দফতরের কর্তারাও তৎপর হননি।

মেদিনীপুর শহরে বেআইনি নির্মাণ নতুন নয়। রাস্তার দু’পাশেও যেমন একের পর এক অবৈধ দোকান মাথা তুলেছে, তেমনই বহু সরকারি জমিতে হয়েছে বেআইনি নির্মাণ। গড়ে উঠেছে বসতি। শহরের রাঙামাটিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জায়গা, বন দফতরের জায়গাও দখল করা হয়েছিল এক সময়। পরে তা দখলমুক্ত করা হয়। অরবিন্দনগরের মাঠ অবশ্য এখনও দখলমুক্ত হয়নি।

শহরের এই এলাকায় ‘রবীন্দ্র ভবন’ গড়ে ওঠার কথা। ভূমি দফতর এ জন্য তথ্য সংস্কৃতি দফতরকে জায়গাও বরাদ্দ করেছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়নি। মাস কয়েক আগে তথ্য সংস্কৃতি দফতরের কর্তারা যখন নির্ধারিত জমির চারপাশে খুঁটি পুঁততে যান, তখন তাঁদের বাধার মুখে পড়তে হয়। তাঁরা বাধ্য হন ফিরে আসতে। অরবিন্দনগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ৪-৫ বছর ধরে মাঠের একাংশ বেআইনি ভাবে দখল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মাঠের একটা বড় অংশই দখল হয়ে গিয়েছে। পুলিশ- প্রশাসন পদক্ষেপ না-করায় ফের নতুন করে জবরদখল শুরু হয়েছে। কার্তিকবাবু জানিয়েছেন, প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ফের আন্দোলন হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE