দিঘার সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা। —নিজস্ব চিত্র।
দিঘায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত দিঘায় হোটেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সমুদ্র ক্রমশ উত্তাল হয়ে ওঠায় সোমবার পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নজরদারির জন্য সৈকতে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও দিঘার হোটেলে হোটেলে পর্যটকদের ভিড় নজরকাড়া।
সোমবার সকাল থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় মেঘলা আকাশ এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হলেও দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরের মতো এলাকার আকাশ ছিল ঝকঝকে। কিন্তু বিকেলের দিক থেকে দিঘার আকাশ রং বদলাতে শুরু করে। শুরু হয় বৃষ্টি। সোমবারই সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও এই মুহূর্তেও দিঘায় অসংখ্য পর্যটকের ভিড়। হোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘার প্রায় ৬০০ হোটেলের অধিকাংশ ঘর শুক্রবার থেকে টানা ‘হাউসফুল’ রয়েছে। সোমবারও নতুন করে দিঘায় পৌঁছেছেন বহু পর্যটক। তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হয়েছে হোটেল মালিকদের। তবে নিষেধাজ্ঞার পর সমুদ্রস্নান করতে না পেরে হতাশ পর্যটকরা।
সোমবার দিঘার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানব সিঙ্গল। পর্যটকদের সতর্ক করে তিনি বার্তা দেন, ‘‘এই মুহূর্তে সমূদ্র অনেকটাই উত্তাল। তাই প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যাতে সমূদ্রে না নামেন সে দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় পুলিশ মাইকে প্রচার করছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, দয়া করে কেউ যেন সমূদ্রে না নামেন।’’ তবে পর্যটকদের এখনই দিঘা ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো কোনও বার্তা আসেনি জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “পর্যটকদের দিঘা ছেড়ে যাওয়ার মতো কোনও নির্দেশ এখনও আসেনি। পর্যটকদের সমূদ্রে স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।’’ রাত থেকে আরও বৃষ্টি বাড়বে, তাই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy