ফর্মপূরণে ব্যস্ত। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ‘দুয়ারে’ এসে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড বিলি করেছেন। এবার সেই জেলারই একটি ব্লকের বিডিও নিজের হাতে স্বাস্থ্যসাথীর আবেদনপত্র পূরণ করে দিলেন। বিডিওর এই মানবিক পদক্ষেপে অবাক লম্বা লাইনে দাঁড়ানো গ্রামের মানুষেরা। ছবিটি জঙ্গলমহল বলে পরিচিত গোয়ালতোড়ের।
মঙ্গলবার গোয়ালতোড়ের জোগারডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির বসেছিল জোগারডাঙার এক স্কুলে। সেই শিবির পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন বিডিও সোফিয়া আব্বাস। শিবিরে স্বাস্থ্যসাথীর টেবিলে মানুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে বিডিওর। লাইনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে শিশু কোলে মহিলাও। ধীর গতিতে এগচ্ছিল লাইন। একবার আবেদনপত্র তোলা, তারপর নথিপত্র সহ সেই আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দেওয়া। হঠাৎই বিডিও সোফিয়া আব্বাস নিজেই কলম হাতে বসে পড়েন স্কুলের বেঞ্চে। লাইনে দাঁড়ানো মানুষের আবেদনপত্র পূরণ করতে শুরু করেন। লাইনের শেষের দিকে মাস ছ’য়েকের শিশু কোলে নিয়ে দাঁড়ানো ফিরোজা প্রামাণিককে ডেকে পূরণ করে দেন তাঁর আবেদনপত্র। ষাটোর্ধ্ব রঘুনাথ পাল লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। বিডিও তাঁর আবেদনপত্র পূরণ করে তাঁকে স্বাক্ষর করিয়ে জমা দিতে বলেন। কোলে শিশু নিয়ে শিরোমণিপুর গ্রামের ফিরোজা বা পাথরবেড়িয়া গ্রামের রঘুনাথ পাল বিডিওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘‘যা বড় লাইন পড়েছিল, উনি না থাকলে আমাদের বোধহয় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডই হত না।’’
শিবির পরিদর্শনে এসে বিডিওর এই কাজে প্রথমে হকচকিয়ে যান বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা। পরে তাঁরাও হাতের কাজে গতি বাড়ান। লম্বা লাইন এগোতে থাকে দ্রুত। বিডিও সোফিয়া আব্বাস বলেন, ‘‘লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল। বয়স্কদের ও মহিলাদের যাতে হয়রানি না হয়, সে জন্য নিজেই আবেদনপত্র পূরণ করে দিয়েছি। আমরা চাই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্ত হয়ে কেউ শিবির থেকে ঘুরে না যান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy