মনোজ সামন্ত। নিজস্ব চিত্র।
খড়্গপুরের পর এ বার তমলুক।
ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙায় তমলুক শহরের শঙ্করআড়া মোড়ের কাছে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে একটি মোটরবাইক আটকান কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার। মঙ্গলবার সকালে ঘটনার জেরে মোটরবাইক আরোহী শেখ মোরতাজার সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার মনোজ সামন্তের বচসা বাধে। সেই সময় সিভিক ভলান্টিয়ারের জামার কলার ধরে তাঁকে মোরতাজা হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। মনোজকে হুমকিও দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কিতে মনোজের হাতে আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোরতাজাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্তব্যরত অবস্থায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে আক্রমণের অভিযোগে শেখ মোরতাজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তমলুক শহর সংলগ্ন সোনামুই গ্রামের বাসিন্দা শেখ মোরতাজা এলাকায় তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে তৃণমূলের তমলুক শহর সভাপতি দিব্যেন্দু রায় বলেন, ‘‘ট্রাফিক পুলিশকে আক্রমণের ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। এ নিয়ে বিস্তারিতভাবে খোঁজ নিচ্ছি। তবে এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি।’’
গত রবিবার সকালে খড়্গপুর টাউন থানার পুরাতনবাজার মোড়ে ট্রাফিক আইন ভাঙায় মোটর বাইক আরোহী তিন যুবককে আটকেছিলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মী জ্যোতিন্দ্রনাথ মাহাতো। অভিযোগ, এ নিয়ে বচসা চলাকালীন এক যুবক ওই পুলিশকর্মীর মাথায় মদের বোতল দিয়ে আঘাত করে। তার পরে চম্পট দেয় তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জ্যোতিন্দ্রনাথকে ভর্তি করানো হয় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। তারপরে ফের এ দিন কর্তব্যরত অবস্থায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগ উঠল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে তমলুক শহরের শঙ্করআড়া মোড় এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তমলুক থানার সিভিক ভলান্টিয়ার মনোজ সামন্ত ও তাঁর এক সহকর্মী। সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ তমলুক শহরের মানিকতলার দিক থেকে হাসপাতাল মোড়ের (হলদিয়ার দিকে) দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন শেখ মোরতাজা। মনোজের অভিযোগ, ‘‘সেই সময় শঙ্করআড়া মোড়ের কাছে সড়কে আড়াআড়ি গাড়ি পার হওয়ার জন্য হাত দেখিয়ে হলদিয়াগামী গাড়িগুলিকে আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ওই মোটরবাইক আরোহী নিয়ম অমান্য করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি ওই মোটরবাইক আটকে সড়কের একধারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতেই আমার উপর চড়াও হয়ে জামার কলার ধরে ধাক্কাধাক্কি করে।’’
মনোজের আরও অভিযোগ, ‘‘ওরা আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।’’ এ বিষয়ে মোরতাজা অবশ্য দাবি করেন, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার রাস্তায় উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার পরেই আমি মোটরসাইকেল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সে আমার গাড়ি আটকে চাবি নিয়ে নেয়। আমি ওই মোটরসাইকেলের চাবি ফেরত চাওয়ায় তা নিয়েই বচসা হয়েছিল। ধাক্কাধাক্কি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।’’ জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ এসেছে। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy