রান্না: সবংয়ের গ্রামে চালু হল জৈব গ্যাস। নিজস্ব চিত্র
ঘরে ঘরে গ্যাসে রান্নার চল হয়েছে অনেক দিন। তবে গ্রামাঞ্চলে অনেক বাড়িতেই এখনও কাঠের উনুনে রান্না হত। আর সেই উনুনের ধোঁয়া পরিবেশের ক্ষতি করত। সমস্যা মেটাতে জৈব গ্যাস প্রকল্প গড়তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল খড়্গপুর আইআইটি।
শুক্রবার জাতীয় অনগ্রসর জাতি অর্থ ও উন্নয়ন নিগমের অর্থানুকূল্যে দু’টি জৈব গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। সবংয়ের ভেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামে এ দিন এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা দেবু প্রধান ও গোপাল সিংহের বাড়িতে প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। ছিলেন নিগমের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার টি আর চেরি, আধিকারিক জাফর ইকবাল, আইআইটির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক তথা প্রকল্পের আধিকারিক ভীমচরণ মেইকাপ প্রমুখ।
প্রতিটি প্রকল্প গড়তে প্রায় ৪৩ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। আগামী দিনে সবংয়ের গোবিন্দপুর, জানকিবাড়, জামদা গ্রামে ৫টি এমন প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এ দিন উদ্বোধনের পরে জৈব গ্যাসের উনুনে রান্নাও করা হয়েছে। স্থানীয় গোপাল সিংহ বলছিলেন, “রান্নার গ্যাস কেনার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। তাও বাড়িতে যে গ্যাসের উনুনে রান্না হবে তা কল্পনা করতে পারিনি।”
আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবার যাতে গ্যাসের উনুনে রান্না করতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প। জাতীয় অনগ্রসর জাতির অর্থ ও উন্নয়ন নিগমের অধীনে প্রকল্পের সম্পাদনের দায়িত্ব পেয়েছে খড়্গপুর আইআইটি। প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ১৫টি প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সবংয়ে ৭টি, গড়বেতায় ৪টি ও পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-২ ব্লকে ৪টি জৈব-গ্যাস গ্যাস প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এ জন্য পঞ্চায়েতের মাধ্যমে আবেদন করা ব্যক্তিদের বাড়িতে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা হচ্ছে, আবেদনকারী পরিবারের আয় কম কি না, গোবরের জন্য অন্তত
চারটি গরু ও প্রয়োজনীয় জমি রয়েছে কি না।
কেউ ব্যক্তিগতভাবে প্রকল্প গড়তে চাইলেও সহযোগিতা করবে আইআইটি। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই খরচ দিতে হবে। এই প্রকল্পের আধিকারিক ভীমচরণবাবু বলেন, “১৫টি প্রকল্প নিগমের অর্থানুকূল্যে গড়ে দিচ্ছি। কেউ ব্যক্তিগত ভাবে বা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে অর্থ খরচ করে প্রকল্প গড়তে চাইলেও আমরা সহযোগিতা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy